‘বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান কুশীলব জিয়াসহ সকল খলনায়কের মরণোত্তর বিচার করতে হবে’ : যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান সম্পূর্ণভাবে জড়িত ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততার সপক্ষে বিভিন্ন তথ্য এবং দালিলিক প্রমাণ রয়েছে।’- বললেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রধান কুশীলব জিয়াসহ খলনায়কদের মরণোত্তর বিচার করতে হবে বলেও দাবি তোলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি যাদুঘর প্রাঙ্গণে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল রশিদ, হুদা পাশাসহ অনেকের বিচার হয়েছে, অনেকের রায় কার্যকর করা হয়েছে। আবার অনেকে এখনো বিদেশে পলাতক। তাদের বিচারের রায় কার্যকর করা যায়নি। আমরা বারবার দাবি করেছি তাদের বিদেশ থেকে নিয়ে এসে রায় কার্যকর করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে। এই আত্মস্বীকৃত খুনিদের যে বিষয়টি সামনে আসেনি সেটা অবশ্যই বলতে হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কুশীলব কে ছিল? কুশীলব ছিল খুনি জিয়াউর রহমান। এখন সময় এসেছে বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের খলনায়ক জিয়াসহ সকল কুশীলবদের মরণোত্তর বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল কুশীলব জিয়াউর রহমান নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে অথচ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে একে একে সমস্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করেছেন। উনি এদেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করেছেন। সাড়ে ১২ হাজার মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও দালালদের মুক্ত করে দিয়েছিলেন। যার নেতৃত্বে একাত্তরে গণহত্যা হয়েছিল সেই রাজাকার প্রধান গোলাম আযমকে বিদেশ থেকে এনে দেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন জিয়া। একাত্তরের রাজাকার আলবদরদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলেও জিয়াউর রহমান এদেশে তাদের পুনরায় রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। জিয়া মুক্তিযুদ্ধের সকল চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য সব সময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।