জাতীয় পার্টি পুনর্গঠন করতে চান বিদিশা
সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেছেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা এরশাদ। এ সময় তিনি দল পুনর্গঠন করার কথা জানিয়ে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে দলের প্রার্থীর পরাজয়ের জন্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেন।
গতকাল শনিবার সিলেট সফরে এসে দুপুর ১টার দিকে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারতের আগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বিদিশা এরশাদ।
বিদিশা এরশাদ বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টির এখন এত বিশৃঙ্খল অবস্থা যে ওয়ার্ড কমিটি থেকে শুরু করে থানা-উপজেলা কমিটি নেই অনেক জায়গায়। আমরা দল পুনর্গঠনে হাত দিয়েছি। সে জন্য বাবা শাহজালাল (রহ.)-এর দোয়ার জন্য এসেছি।’ এরশাদের মতো তিনিও সিলেটকে নিজের দ্বিতীয় বাড়ি বানাতে চান মন্তব্য করে বলেন, ‘সিলেট ছিল এরশাদ সাহেবের দ্বিতীয় বাড়ি। আজকে সিলেটে এসে যে রিসিপশন পেয়েছি তাতে আমি আবেগাপ্লুত। আমিও যাতে সিলেটকে নিজের দ্বিতীয় বাড়ি বলার জায়গায় যেতে পারি সে চেষ্টাই করব।’
দল পুনর্গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলের এখন যিনি চেয়ারম্যান আছেন তিনি কর্মীবান্ধব নন। যার ফল হচ্ছে সিলেটের নির্বাচন। যদি আমাদের চেয়ারম্যান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ভালো সমন্বয় থাকত তাহলে আমরা এই সিটটা হারাতাম না। আমি মনে করি চেয়ারম্যান যদি ঠিকমতো সমন্বয় করতে পারতেন তাহলে আমাদের প্রার্থী আতিক আরো বেশি ভোট পেতেন এবং এই আসনে আমরা জিততে পারতাম।’
দল পুনর্গঠন তিনি কিভাবে করতে পারেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এরশাদ সাহেবের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর দিন আমাদের সন্তান এরিক এরশাদ জাতীয় পার্টি পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল। সেখানে রওশন এরশাদকে পার্টির আজীবন চেয়ারম্যান এবং আমাকে কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ আমাদের সঙ্গে আছেন। সুতরাং আমি কো-চেয়ারম্যান হিসেবেই এসেছি এবং সারা বাংলাদেশে এখন পুনর্গঠন শুরু করছি।’ নতুন এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় দলে নতুন করে ভাঙন দেখা দেবে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এরশাদ সাহেবের জাতীয় পার্টিই থাকবে। এখানে আলাদা কোনো ভাঙন বা ব্রাকেটবন্দি কোনো জাতীয় পার্টি হবে না।’ তাঁর সঙ্গে সিলেটের নেতাকর্মীরা আছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবাই তো আছেন। কারা কারা আছেন জানবেন পরে, আমি যদি এখন নাম বলে দিই দেখবেন তাঁকে আবার বহিষ্কার করে দিয়েছেন আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয়।’
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে তিনি সিলেট এসে পৌঁছান। পরে সেখানে জোহরের নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত ও শিরনি বিতরণ করেন। এরপর দরগা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।