টাঙ্গুয়ার হাওরে পূজা চেরি
মেঘালয় থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ জলের ধারা মিশে গেছে টাঙ্গুয়ার সুবিস্তৃত হাওরে। সেই জলধারা বর্ষাশেষের দুপুরে যেন পুরো যৌবন পেয়েছে। হু হু করে ছুটে আসা বাতাস নিমিষেই এলোমেলো করে দেয় হাওরের মাঝে যে কোনো আগন্তুককে।
টাঙ্গুয়ার হাওরের জলে দেখা মিলল চিত্রনায়িকা পূজা চেরিকে। ইঞ্জিন চালিত ট্রলারের মধ্যে দূর দিগন্তে দৃষ্টি। ফেলে আসা বিকেলের কথা যেন হুট করে মনে পড়ে যায়, হৃদয় দ্রবীভূত হয়- এমনই কী? হয়তো অথবা নয়- অথবা গল্পের মধ্যে ঢুকে গিয়েছেন পূজা- যেটা নিছকই অভিনয়।
হৃদিতা। একটি চলচ্চিত্রের নাম। যার শুটিঙের জন্য এই মুহূর্তে টাঙ্গুয়ার হাওরে পূজা। গত ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গুয়ার হাওরে যান পূজা চেরি। সঙ্গে যান ছবির নায়ক এবিএম সুমন ও হৃদিতা চলচ্চিত্রের দল। আনিসুল হকের উপন্যাস ‘হৃদিতা’ উপন্যাস থেকে নির্মিত হচ্ছে। ছবিটির মাধ্যমে প্রথমবার পূজা চেরি ও এবিএম সুমন জুটি হয়েছেন।
পূজা বলেন, এমন সৌন্দর্যে কতদিন হারাইনি। এমন সুন্দর জায়গা দেখেই নিজের ভেতরে প্রশান্তি চলে এসেছে। গানের শুটিংয়ে এখানে এলেও মনে হচ্ছে পিকনিকে এসেছি। শুটিংয়ের ফাঁকে উপভোগ করেছি সময়টা, জায়গাটা।
যুগল পরিচালক ইস্পাহানি আরিফ জাহানের সঙ্গে হাওরে নৌকার উপর বাসা পূজা চেরি। পূজার সঙ্গে পূজার মাও গিয়েছিলেন। তিনিও হাওরের সুন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিছেন পূজা।
পূজা বলেন, ‘এখানে নানা জাতের পাখির কলতান আর করচ-হিজল বনের অপরূপ সৌন্দর্যের সমাহার দেখেছি।শুটিংয়ের পাশাপাশি আমরা সবাই টাঙ্গুয়ার হাওরের সৌন্দর্য সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করেছি।’
২০১৯-২০ অর্থ বছরে সরকারি অনুদানে ‘হৃদিতা’ নির্মাণ করছেন পরিচালক যুগল পরিচালক ইস্পাহানি আরিফ জাহান। পরিচালক বললেন, ‘হৃদিতার শুটিং শেষ। বাকি ছিলো একটি গানের শুটিং। সে গানের শুটিং করতেই টাঙ্গুয়ার হাওরে আসা। গানের শুটিং শেষ।
সিলেট থেকেই ফিরেই পূজা চেরি শাকিব খানের বিপরীতে ‘গলুই’ নামে আরও একটি অনুদানের ছবির শুটিং করবেন। এটি পরিচালনা করবেন এস এ হক অলিক।