‘নারায়ণগঞ্জ-কুমিল্লা রেলপথ হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম দূরত্ব কমবে ৭০ কিলোমিটার’
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন নারায়ণগঞ্জ-কুমিল্লা রেলপথ হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম দূরত্ব কমবে ৭০ কিলোমিটার।
আজ শনিবার আখাউড়া-লাকসাম ৭২ কিলোমিটার ডাবললাইন ডুয়েলগেজ প্রকল্পের কুমিল্লা-লাকসাম অংশের ২৪ কিলোমিটারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুমিল্লা রেলস্টেশনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এ কথা বলেন। দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম অভিমুখী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটির মাধ্যমে ডুয়েলগেজের উদ্বোধন করা হয়।
রেলমন্ত্রী বলেন, সরকারের নারায়ণগঞ্জ থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত রেললাইন করার পরিকল্পনা আছে। গত তিন বছর মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি। কিন্তু কেউ নারায়ণগঞ্জ থেকে কুমিল্লা রেললাইন করার বিষয়টি উত্থাপন করেননি। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নে বিশ্বাসী। কুমিল্লাবাসী চাইলে নারায়ণগঞ্জ-কুমিল্লা রেললাইন হতো। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার কমে আসতো’।
তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন মানে সড়ক পথের উন্নয়ন নয়। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন বলতে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকে বোঝায়। সরকার সমন্বিত উন্নয়ন ব্যবস্থার উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করেছেন। মিটারগেজ ট্রেনের প্রয়োজনীয়তা কমে আসছে। তাই সারা দেশের রেলপথকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করা হবে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার ডুয়েলগেজ লাইনের কাজ চলছে। চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্তও ডুয়েলগেজ করা হবে। ২০১১ সালে রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠনের পর থেকে রেলে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। পদ্মাসেতুতে রেললাইন হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেললাইন হয়েছে, খুলনা-মোংলা রেরলাইন হয়েছে, ভাঙ্গা-মাওয়া সেতুতে রেললাইন হবে, মেট্রোরেলের কাজও শেষ হয়েছে। আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডাবললাইন ডুয়েলগেজের কাজ ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে। যার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রী আরও বলেন, একটা শক্তি আছে, যারা দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। তাদের সঙ্গে আজ কেউ নেই। তাদের রাজনীতি পরিহাসের বস্তুতে পরিণত হয়েছে।