অস্ট্রেলিয়ায় নির্মিত ‘আঘাত’ মুক্তি পাচ্ছে ভারতে
অস্ট্রেলিয়ায় শুটিং হয়েছে বাংলা ওয়েব সিরিজ ‘আঘাত’-এর। বানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি জায়েদ রিজওয়ান। গল্পটি অস্ট্রেলিয়ানির্ভর। মুক্তি পাচ্ছে ভারতীয় প্ল্যাটফর্মে। সিরিজটিতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের একঝাঁক অভিনয়শিল্পী। এর মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের ইরফান সাজ্জাদ, বিপাশা কবির, দীপালি আক্তার তানিয়া ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি রূপন্তী। কলকাতা থেকে ছিলেন রণজয় বিষ্ণু। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ওয়াচোতে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রচার শুরু হবে ‘আঘাত’ সিরিজটি।
‘আঘাত’ পাঁচ পর্বের একটা অ্যাকশন থ্রিলার ওয়েব সিরিজ। পরিচালক রিজওয়ান অ্যাকশন ফিল্ম বানানোয় সিদ্ধহস্ত। অস্ট্রেলিয়ায় সিনেমা নির্মাণের ওপর পড়াশোনা করেছেন। সেখানে তাঁর মেজর ছিল অ্যাকশন ফিল্ম। অস্ট্রেলিয়ায় একটা সময় নাম্বার ওয়ান টিভি সিরিজ ছিল ‘আন্ডারবেলি’। ওই সিরিজের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন রিজওয়ান। এরপর আরো বেশ কিছু টিভি সিরিজে সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। গত কয়েক বছরে অস্ট্রেলিয়ায় নির্মিত হলিউডের বেশ কিছু ছবির ট্রেইনি ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছেন এই বাংলাদেশি।
‘আঘাত’ গল্পটা টেররিজম নিয়ে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় স্লিপার সেল (জঙ্গিদের গুপ্ত দল) তৈরি করে জঙ্গি সংগঠনগুলো। গল্পে দেখা যাবে কিছু অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি ও ভারতীয়রা স্লিপার সেলে যুক্ত হয়েছে। এই সেলটাকে খুঁজে বের করতে বাংলাদেশি একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রথম অভিযানে একজন নারীকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাঁর সূত্রে পাওয়া যায় জঙ্গিদের গোপন নকশা।
সিরিজটির স্ক্রিপ্ট লিখেছেন তাহসান শুভ। তিনি চরিত্রগুলো নিয়ে বলেন, ‘এই ওয়েব সিরিজে রূপন্তীর চরিত্রটা বিধ্বংসী। এক দেশের নাগরিক অন্য দেশের আইডোলজি কিভাবে নিজের মধ্যে ধারণ করে, সেটাই দেখানোর চেষ্টা হয়েছে চরিত্রটায়। বিপাশা কবির আইটেম গানে জনপ্রিয় হলেও এখানে তাঁকে ভিন্নভাবে দেখা যাবে। জায়েদ ভাই আর আমি গল্প নিয়ে যখন আলাপ করছিলাম, তখনই তিনি বলেছেন, তাঁকে যেভাবে মানুষ দেখে আসছে, তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ভাবতে। তিনি তাঁর চরিত্রের প্রতি সুবিচারই করেছেন।’
পরিচালক রিজওয়ান যোগ করেন, ‘রণজয় সাজ্জাদ, দীপালি অনেকটা গল্পের নিউক্লিয়াসের মতো। গল্পের প্রভাবে তিনজনকে এক লাইনেই দেখতে পাওয়া যাবে। যেমন রণজয় স্পেশাল ইউনিট অফিসার। সাজ্জাদ আইটি এক্সপার্ট, যে কিনা মুসলিম হওয়ার কারণে হেনস্তার শিকার হয়। দীপালি একজন সাইকোলজিস্ট। যে কিনা টেররিজমে সাসপেক্টদের নিয়ে ইনভেস্টিগেট করে, কেন তারা টেররিস্ট হয়, কে তাদের প্রভাবিত করে। ধর্মই জঙ্গিবাদের মূল বিষয় নয়, অন্য আরো অনেক কারণেও জঙ্গিবাদের জন্ম হয়–গল্পের মূল বিষয়টা অনেকটা এ রকম। এ ছাড়া রূপন্তী, বিপাশা কবিরদের চরিত্রগুলোয় দর্শক একেবারে ভিন্ন কিছু পাবে। প্রতিটি চরিত্রই গল্পের সুবাধে এসেছে।’
সিরিজটির স্ক্রিপ্ট লিখেছেন তাহসান শুভ। তিনি চরিত্রগুলো নিয়ে বলেন, ‘যেমন রূপন্তীর চরিত্রটা বিধ্বংসী। এক দেশের নাগরিক অন্য দেশের আইডোলজি কিভাবে নিজের মধ্যে ধারণ করে, সেটাই দেখানোর চেষ্টা হয়েছে চরিত্রটায়। বিপাশা কবির আইটেম গানে জনপ্রিয় হলে এখানে তাঁকে ভিন্নভাবে দেখা যাবে। জায়েদ ভাই আর আমি গল্প নিয়ে যখন আলাপ করছিলাম, তখনই তিনি বলেছেন, তাঁকে যেভাবে মানুষ দেখে আসছে, তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ভাবতে। তিনি তাঁর চরিত্রের প্রতি সুবিচারই করেছেন।’
নির্বাহী প্রযোজকের দায়িত্বে ছিলেন মিয়া তারেক ও শাওন অরিজিত।
সিরিজটির টাইটেল সং ও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক করেছেন নাভিদ পারভেজ। দুটি গানের সুর ও সংগীত করেছেন কিশোর দাস। গান গেয়েছেন পান্থ কানাই, রাজ বর্মন, পারভেজ, কিশোর দাশ ও ন্যান্সি।