মিয়ানমারে বৃহৎ সংঘাতের আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে নানামুখী সংকট চলমান রয়েছে। দেশটির এই সংকট দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে, এমনকি এর বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর এমন হলে তা বৃহৎ সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস। এ ধরণের পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে এ আহ্বান জানান গুতেরেস।
গুতেরেস বলেন, মিয়ানমারে সেনাশাসন প্রতিরোধের সুযোগ ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসতে পারে। সেখানে গণতান্ত্রিক শাসন ফেরাতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক দেশগুলোর সাহায্য জরুরি। মিয়ানমারের সাংবিধানিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল বহাল অপরিহার্য। এটি আদায়ে প্রতিবেশী দেশগুলো মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
মিয়ানমারের সংকট সমাধানে দক্ষিণপূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের পাঁচ দফা প্রস্তাবনায় সমর্থন জানিয়েছে জাতিসংঘ। ওই প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে- মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধ, গঠনমূলক আলোচনা, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আসিয়ানের বিশেষ দূত নিয়োগ এবং মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি। গত আগস্টে ব্রুনেইয়ের দ্বিতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এরিওয়ান ইউসুফকে মধ্যস্থতাকারী দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে আসিয়ান। এরই মধ্যে কাজও শুরু করেছেন তিনি।
গতকাল বুধবারের প্রতিবেদনে ইউসুফের নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘ প্রধান। আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, মিয়ানমার সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে পাঁচ দফা প্রস্তাবনা সময়মতো বাস্তবায়ন জরুরি। এ বিষয়ে আসিয়ানকে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের সঙ্গে কাজ করতেও উৎসাহিত করেন গুতেরেস।