টরন্টোতে নভেম্বরেই ই-পাসপোর্ট সেবা চালুর আশা
কানাডার টরন্টোস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এ বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি (২০২১) থেকে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
কানাডার টরন্টো সফরকালে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ এ নিয়ে কাজ করছে এবং ই-পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় সেট-আপ নভেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ কনস্যুলেট জেনারেলে স্থাপন করা সম্ভব হবে।
বর্তমানে কনস্যুলেট জেনারেল মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) প্রদান করে যাচ্ছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। এ সময়ে বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে। এই চেতনায়, তিনি কনস্যুলেটকে সেবা প্রদান, প্রবাসীদের প্রত্যাশা পূরণ এবং টরন্টোতে কনস্যুলেট জেনারেলের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বর্তমান গতিশীলতা ও ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে মিশনের ডিজিটাইজড কনস্যুলার সার্ভিস সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করেন। যার মাধ্যমে বর্তমানে টরন্টোস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট স্বল্প সময়ে স্বয়ংক্রিয় আধুনিক ডিজিটাইজড পদ্ধতিতে উন্নত কনস্যুলার সেবা প্রদান করছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কানাডার সাথে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে। তিনি দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন সুযোগ ও কানাডার বিভিন্ন কলেজে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত পর্যায়ে থেকে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া বাংলাদেশ কানাডার ডিরেক্ট স্টুডেন্টস স্ট্রীম (এসডিএস) এ অন্তর্ভুক্তির জন্য দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে সকল প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে বলে জানান তিনি।