‘৯৯৯-এ ফোন করি, পুলিশ এসে নোবেলের কাছে থেকে আমাকে উদ্ধার করে’
সংগীতশিল্পী নোবেলকে ডিভোর্সের চিঠি পাঠিয়েছেন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। গত মাসে- অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখে তিনি নোবেলকে ডিভোর্সের চিঠি পাঠিয়েছেন। বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন সালসাবিল মাহমুদ নিজেই।
ডিভোর্সের প্রসঙ্গটি সামনে আসার পরেই নোবেল দাবি করেন, তাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছেন সালসাবিল মাহমুদ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সালসাবিল বৃহস্পতিবার সকালে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নোবেল কী বলে না বলে- কী বলতে পারে- সবাই জানে। সে মাদক গ্রহণ করে, মানসিকভাবে অসুস্থ। তার চিকিৎসা হওয়া জরুরি। আমি অনেক চেষ্টা করেছি। নোবেল নারী আর মদ ছাড়তে পারে না, সে সুস্থ হবে কিভাবে?’
সালসাবিল অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি নেশা করার প্রতিবাদ করায় আমাকে মারতে মারতে এমন বাজে অবস্থা করেছে যে আমি ৯৯৯-এ ফোন করি, এরপর পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে। পরে আমি গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। ওই ঘটনার পর থেকে আলাদা আছি। সে যোগাযোগ করে, ধীরে ধীরে নরমাল হতে থাকে। কিন্তু আবার পাগলামি শুরু করে। আমি বাবার বাসায় থেকেও বোঝানোর চেষ্টা করেছি; কিন্তু নোবেল সংশোধন হবে না।’
এর মধ্যে দেখা হয়েছে কয়েকবার উল্লেখ করে সালসাবিল বলেন, ‘ওকে নিয়ে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছি সুস্থ করে তোলার। যে মানুষ মাদক আর নারী অভ্যাস ছাড়বে না, তাকে সুস্থ করা সম্ভব না। বাধ্য হয়েই আমি ওকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এদিকে নোবেল ফেসবুকে ডিভোর্স লিখে একটি পোস্ট দিয়েছেন। এর বাইরে তিনি কিছুই লেখেননি। সালসাবিল মাহমুদের পক্ষ থেকে নোবেলকে পাঠানো ডিভোর্সের চিঠিটি কালের কণ্ঠ অনলাইনে সংরক্ষিত রয়েছে।
মাইনুল হাসান নোবেল। শুরু থেকেই একের পর এক বিতর্ক তৈরি করে গেছেন। কলকাতার জি বাংলার সারেগামাপা রিয়ালিটি শোর মাধ্যমে আলোচনায় আসেন। কিন্তু আলোচনার শুরু থেকে যেমন দুই বাংলার পছন্দের তালিকায় ছিলেন, তেমনি একটা শ্রেণি তার নানা সময়ের ‘আচরণে’ অসন্তোষ প্রকাশ করে।
এসব বিতর্কের বাইরে গিয়ে নোবেল সালসাবিল মাহমুদকে ২০১৯ সালে বিয়ে করেন। প্রায় সাত মাস বিয়ের কথা গোপন থাকলেও পরে তা আর গোপন থাকেনি। ২০২০ সালের মে মাসে নোবেল ও সালসাবিলের বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।