দুর্গোৎসবে স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘ভেনম’
শারদীয় দুর্গোৎসবের মাঝে দর্শকদের জন্য দারুণ এক ছবি নিয়ে এলো স্টার সিনেপ্লেক্স। ১৫ অক্টোবর তারা মুক্তি দিচ্ছে ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ভেনম ছবির সিক্যুয়াল ‘ভেনম: লেট দেয়ার বি কার্নেজ’। মার্বেল এন্টারটেইনমেন্ট এবং টেনসেন্ট পিকচার্সের সহযোগিতায় ছবিটি প্রযোজনা করেছে কলাম্বিয়া পিকচার্স। ছবিটি পরিচালনা করেছেন অ্যান্ডি সার্কিস এবং এর চিত্রনাট্য লিখেছেন কেলি মার্সেল। ভেনম (২০১৮) নির্মাণের সময়ই এর সিক্যুয়াল নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। ভেনম চলচ্চিত্রের শেষভাগে হ্যারলসনকে ক্লেটাস ক্যাসিডি হিসেবে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দেখা গিয়েছিল এবং এর সিক্যুয়ালে তাকে খলনায়ক হিসেবে উপস্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে এর রচয়িতা মার্সেলের পাশাপাশি অভিনেতা হার্ডি এবং হ্যারলসনের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার মাধ্যমে ছবিটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়। ওই বছরের আগস্টে সেরকিসকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ছবির নাম ঘোষণা করা হয় ২০২০ সালের এপ্রিলে। ছবিটি ২০২০ সালের অক্টোবরে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারীর কারণে তা পিছিয়ে বরাবর এক বছর পর মুক্তি দেয়া হয়।
দর্শক প্রত্যাশা পূরণে প্রথম ছবিতে যেটুকু ঘাটতি ছিল, তা পূরণের উদ্দেশ্যেই তাদের এই চেষ্টা। সে চেষ্টায় তারা যে সফল, তা স্বীকার করেছেন চলচ্চিত্র সমালোচক শন ও’কনেল। তার কথায়, ‘ভেনম: লেট দেয়ার বি কার্নেজ’ নতুন ভক্ত তৈরি করতে পারবে। প্রথম সিনেমা যাদের পছন্দ হয়নি, তাদেরও ভালো লাগার মতো নানা উপকরণ আছে সিক্যুয়ালে। শনের পাশাপাশি অন্য সমালোচকরাও মনে করেন ছবিটি সবদিক থেকেই প্রথমটিকে ছাড়িয়ে যাবে। তারা যে ভুল বলেননি তা বোঝা যাচ্ছে দর্শকদের উৎসাহ দেখে। করোনাকালেও বক্স অফিসে দারুণ সাড়া পেয়েছে ‘ভেনম: লেট দেয়ার বি কার্নেজ’। তিন দিনে ৯ কোটি ডলার নিয়ে ছবিটির যাত্রা শুরু হয়েছে। এ আয় বলে দিচ্ছে ২০২১ সালে ব্লকবাস্টারের তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে ‘ভেনম’ সিক্যুয়াল। ২০১৮ সালের ‘ভেনম’-এর চেয়ে সিক্যুয়েলটির উইকএন্ড আয় তুলনামূলকভাবে বেশি। সপ্তাহান্তে ওই ছবির আয় ছিল ৮ কোটি ডলার। উত্তর আমেরিকায় মোট আয় করে ২১.৩ কোটি ডলার, সব মিলিয়ে বিশ্বব্যাপী তুলে নেয় ৮৫.৬ কোটি ডলার। এর মধ্যে চীনের বাজার থেকে পাওয়া যায় ২৬.৯ কোটি ডলার।
ছবির কাহিনিতে দর্শক দেখবেন সাংবাদিক এডি ব্রকের জীবনে আগের ঘটনার সূত্র ধরে অনাকাঙ্খিত আরও কিছু ঘটনা। এডি ব্রক চেয়েছিলেন লাইফ ফাউন্ডেশনের কুখ্যাত এবং আলোচিত প্রতিষ্ঠাতা কার্লট ড্রেকের সঙ্গে এক ধরনের বোঝাপড়া করতে। দর্শক আগেই দেখেছেন, ড্রেকের একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময়, এডির শরীরে কীভাবে এলিয়েন ভেনম মিশে যায়; যা তাকে অতিমানবীয় শক্তি এনে দেয়। এডির এই রূপান্তর থেকেই একে একে নানা ঘটনার জন্ম। প্রথম পর্বের এই কাহিনী শুরুতে অনেকের মনে ছাপ ফেলেছিল। নানা সমালোচনার পরও একরকম চ্যালেঞ্জ নিয়েই ছবির দ্বিতীয় কিস্তিতে হাত দিয়েছেন। উদ্দেশ্য, ভেনমকে সময়োপযোগী করে দর্শকের কাছে তুলে ধরা। এখন অনেক সমালোচক যখন বলছেন, ভেনম-এর দ্বিতীয় কিস্তি প্রথমটির চেয়ে ভালো- তখন নির্মাতারাও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। এখন তাই প্রতীক্ষায় আছেন আগের রেকর্ড ভেঙে ছবিটি ব্যবসা করুক। সেটা কতটা সম্ভব হবে, তা এখন সময়ই বলে দেবে। তবে এটা ঠিক যে, সিক্যুয়ালের কাহিনি লেখা থেকে শুরু করে নির্মাণের ভিন্নতা তুলে ধরার চেষ্টা ছিল শুরু থেকে। এর অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও নিজেদের সেরা অভিনয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। অ্যান্ডি সেরকিসের পরিচালনায় এ ছবিতে অভিনয় করেছেন টম হার্ডি, মিশেল উইলিয়ামস, নাওমি হ্যারিস, রেইড স্কট, স্টিফেন গ্রাহামসহ অনেকে।