দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে মিডিয়া : শিক্ষামন্ত্রী
রোকন উদ্দিন, ঢাকা : দেশের মিডিয়াগুলো বেশি বেশি নেতিবাচক সংবাদ প্রচার করে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক দিক থেকে আমরা দুর্বল হলেও শিক্ষা ও গবেষণায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের থেকে আমরা পিছিয়ে নেই। কিন্তু মিডিয়া সব সময়ই নেতিবাচক সংবাদ বেশি প্রচার করে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘গবেষকদের সেতুবন্ধন বিষয়ক কর্মশালা’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অভাবে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি এটা সত্য। তবে সুন্দরবন, কক্সবাজার, হাজার হাজার নদী ও দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিয়ে আমরা বিশ্বের কাছে নানাভাবে পরিচিত। ইতিবাচক এসব বিষয়কে মিডিয়া গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ প্রচার করলে বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি আরো উজ্জল হবে।
নাহিদ বলেন, আমাদের অনেক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বিশ্বে সুখী মানুষের তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম। গবেষণা একটি রাষ্ট্রের উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি উল্লেখ করে তিনি বলেন, উচ্চমানের গবেষণার মাধ্যমে জাতীয় লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়। এদেশে জগদীশ চন্দ্র বসু, সত্যেন বোসের মতো লোকেরা জন্মগ্রহণ করেছেন। তারাও বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে দেশের জন্য অবদান রেখে গেছেন। বর্তমানে যারা গবেষণা করছেন তাদেরও দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে যুগোপযোগী গবেষণা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বাংলাদেশে যুক্তরাজ্য দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত নিক লো, গবেষক ড. এস এম জুলফিকার আলী ও বিদেশি গবেষক ড. গ্রাহাম কে ব্রাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ৪৭ শতাংশ জনগোষ্ঠী অশিক্ষিত বলে মিডিয়া যেই সংবাদ পরিবেশন করছে সেটা সত্য নয়। নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমরা সামনের দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনিস্টিটিউট ফর পলিসি রিসার্চ এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ যৌথভাবে ঢাকায় বিট্রিশ কাউন্সিল গবেষকদের সেতুবন্ধন বিষয়ক তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কর্মশালার আয়োজন করেছে। কর্মশালার প্রতিপাদ্য, টেকসই ও শান্তিপূর্ণ শহর: বৈশ্বিক পরিম-লে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ও বিশ্বের ৪০ জন গবেষক এই কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন।