টি- 20 বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল অস্ট্রেলিয়া
এবারের বিশ্বকাপের রাতের ম্যাচগুলোতে ভাগ্য অনেকটাই গড়ে দিয়েছিল টস।‘টস জিতে ফিল্ডিং, আর শেষ ইনিংসে ব্যাট করে ম্যাচ জয়’ চিত্রনাট্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমনটাই যেন হয়ে আসছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল যুদ্ধের ময়দান দুবাইয়ে হওয়া ৭৪টি টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করা দল ৩৮ বার ম্যাচ জিতেছে।শেষমেশ ফাইনালেও দেখা গেল একই চিত্র। রোববার (১৪ নভেম্বর) টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষমেশ শিরোপা ধরা দিল অজিদের হাতে। অন্যদিকে, প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে আবারও আক্ষেপে পুড়ল নিউজিল্যান্ড। এর আগে ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও ফাইনালে গিয়ে ইংলিশদের কাছে হারতে হয়েছিল কেন উইলিয়ামসনদের। বারবার কাছাকাছি গিয়েও শিরোপা অধরা থাকায় এরই মধ্যে ‘আন্ডারডগ’ তকমা মিলেছে কিউইদের। এবার কেন উইলিয়ামসনের লক্ষ্য ছিল সেই অপবাদ ঘুচানোর। কিন্তু দলের ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং ব্যর্থতায় এ যাত্রায় সেটি আর হলো কোথায়!রোববার (১৪ নভেম্বর) দু্বাইয়ে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান তোলে কিউইরা। যদিও এটিই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। এর আগে ২০১৬ সালের ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬১ করেও শিরোপা জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু এবার আর সেটি হতে দেননি অজি ব্যাটসম্যানরা।১৭৩ রানকে মামুলি টার্গেট বানিয়ে প্রথমে ওয়ার্নার আর পরে মিচেল মার্শের ব্যাটিং তাণ্ডবে বলতে গেলে দাপট দেখিয়েই শিরোপা জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালের মঞ্চে আবারও সেই বিধ্বংসী রূপে দেখা দিয়েছিলেন ওয়ার্নার। মারকাটারি ব্যাটিংয়ে চারটি চার ও ৩টি ছয়ে ভর করে ওয়ার্নার করেছেন ৩৮ বলে ৫৩ রান। তবে তারপরই ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তবে কাজ যা করার তার আগেই করে ফেলেন। দলকে শিরোপার দ্বারপ্রান্তে এনে দিয়ে যান।ওয়ার্নারের অসমাপ্ত কাজটা করেন মিচেল মার্শ। ম্যাচ শুরুর আগে শেন ওয়ার্ন বলেছিলেন অস্ট্রেলিয়া শিরোপা জিতবে এবং সর্বোচ্চ রান করবে মিচেল মার্শ। তার ভবিষ্যদ্বাণীই এদিন সত্যি হলো। অস্ট্রেলিয়াও শিরোপা পেল। আর মিচেল মার্শও সর্বোচ্চ ইনিংসটা খেললেন এদিন। হয়ত ক্যারিয়ার সেরাও। ৮ উইকেটের বিশাল জয়ের এ ম্যাচে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৭৭ রানে। অন্যদিকে, তার সঙ্গে ক্রিজে সঙ্গ দিয়েছিলেন ২৮ রানে থাকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।