ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে ভারত
অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ক্রয় করার কারণে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে রয়েছে ভারত।বিভিন্ন দেশকে রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় থেকে বিরত রাখতে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইনের অধীন মিত্রদেশটিকে এ সাজা দেওয়া হতে পারে।মার্কিন বৈরীদের প্রতিরোধ আইন সিএএটিএসএ অনুসারে রাশিয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল বছর চারেক আগে। মস্কোর বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছিল ওয়াশিংটন। পরবর্তীতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন সরকার।এছাড়াও বিভিন্ন কারণে উত্তর কোরিয়া ও ইরানকেও এ-আইনে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হয়েছিল।রাশিয়াকে সাজা থেকে রেহাই দিতে গেল অক্টোবরে একটি বিল উত্থাপন করেছেন একদল মার্কিন সিনেটর। এতে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয়ের পরেও ভারতকে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি দিতে বলা হয়েছে।বিশ্বে চীনের প্রভাব বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্রে পরিণত হয়েছে ভারত। রোববার (১৪ নভেম্বর) রাশিয়ার সামরিক সহযোগিতা সংস্থার প্রধান দিমিত্রি সুগায়েব বলেন, প্রথম চালানের সরবরাহ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। চলতি বছরের শেষে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রথম চালান দিল্লিতে পৌঁছাবে।দূরপাল্লার স্থল থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সাড়ে ৫০০ মার্কিন ডলারে ভারতে কাছে হস্তান্তর করছে রাশিয়া। চীনের কাছ থেকে আসা হুমকির মোকাবিলায় এই অস্ত্র দরকার বলে মনে করছে ভারত। ২০১৮ সালে দুদেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল।নয়াদিল্লি বলছে, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র—দুদেশের সঙ্গেই তাদের কৌশলগত অংশীদারত্ব রয়েছে। তবে ওয়াশিংটন বলছে, সিএএটিএসএ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া অসম্ভব হতে পারে।গেল বছর এ আইনের অধীন ন্যাটোমিত্র তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ওয়াশিংটন। এছাড়া এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান কর্মসূচি থেকেও তুরস্ককে বের করে দেওয়া হয়েছে। বিপরীতে আংকারাকে রাশিয়ার অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান দেওয়ার অঙ্গীকার করলেও এখন পর্যন্ত তাদের মধ্যে কোনো চুক্তি হয়নি।