মানুষের শরীরে ছাগলের অণ্ডকোষ প্রতিস্থাপন
আজ থেকে এক শতাব্দী আগে, ১৯১৮ সালে যৌন সক্ষমতাজনিত সমস্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এক রোগী গিয়েছিলেন স্থানীয় এক হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে। ওই ডাক্তারের নাম জন ব্রিঙ্কলে। ব্রিঙ্কলে রোগীর সমস্যা শুনে অনেকটা রসিকতা করেই বলেছিলেন, ছাগলের এক জোড়া অণ্ডকোষই পারে তার সমস্যা দূর করতে। আর এরপর তো ওই রোগী নাছোড়বান্দা। ছাগলের অণ্ডকোষ নিজের শরীরে প্রতিস্থাপনের জন্য তিনি রীতিমতো বিরক্ত করে ফেলেছিলেন ব্রিঙ্কলেকে। তার পাশাপাশি ব্যাপক অর্থের লোভও দেখানো হয়েছিল ব্রিঙ্কলেকে। শেষপর্যন্ত রোগীর জোরাজুরিতে এক পর্যায়ে এরকম একটা অস্ত্রোপচার করতে রাজি হয়েছিলেন ব্রিঙ্কলে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফির একটি আর্টিকেলে এমন ঘটনার উল্লেখ করা হয়।অবশ্য ওই রোগীর পরিবার পরে দাবি করেছিল, ব্রিঙ্কলেই নিজেই টাকার বিনিময়ে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে রাজি করিয়েছিলেন বিল নামের ওই রোগীকে।মজার ব্যাপার হলো অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছিল। ওই রোগী এই ঘটনায় ব্যাপক খুশি হয়েছিলেন। আর এই ঘটনায় ব্রিঙ্কলের নাম ছড়িয়ে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। এই ঘটনার পর ব্রিঙ্কলের চেম্বারে রোগীর লাইন পড়ে গিয়েছিল। রোগীর চাপ এতই বেড়ে গিয়েছিল যে, ছাগলের অণ্ডকোষ লাগাতে তাকে রীতিমত একটি ছাগলের খামার গড়ে তুলতে হয়েছিল। তবে খুব বেশি দিন এভাবে কাটাতে পারেননি ব্রিঙ্কলে। প্রাথমিকভাবে অস্ত্রোপচার সফল মনে হলেও তার রোগীরা ক্রমে অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করেন। কারও সঙ্গী হল ভয়ঙ্কর সংক্রমণ, কারও কারও হলো মৃত্যুও। পরে ১৯৩০ সালে চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হয় তার।