আসলামুল হককে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ
এইদেশ এইসময়, ঢাকা : অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ঢাকা-১৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বুধবার সকাল ১০টা থেকে তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। চলবে দুপুর পর্যন্ত।
অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালক শেখ মেসবাহউদ্দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আসলামুল হককে তলব করে চিঠি পাঠিয়েছিল দুদক।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি সাংসদ আসলামুল হক নিজেই কমিশনের চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামানের সাক্ষাৎ চেয়ে আবেদন করেছিলেন এবং ২৭ জানুয়ারি দুদকে আসার ইচ্ছাপোষণ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আর হাজির হননি।
গত ১২ জানুয়ারি আসলামুল হকসহ সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বর্তমান সাংসদসহ মোট সাত ভিআইপির অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ খতিয়ে দেখা শুরু করে দুদক।
হলফনামা অনুসারে আসলামুল হকের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ:
নির্বাচন কমিশনে হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তিনি ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের আগে দেওয়া হলফনামায় বলেছেন, তিনি ও তার স্ত্রী মাকসুদা হক ৪ একর ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ জমির মালিক। এসব জমির দাম দেখিয়েছেন ২০ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা।
আর দশম সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ১ ডিসেম্বর জমা দেওয়া হলফনামায় বলেছেন, আসলামুল হক ও তার স্ত্রী এখন ১৪৫ দশমিক ৬৭ একর (১৪ হাজার ৫৬৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ) জমির মালিক। জমির দাম উল্লেখ করা হয়েছে এক কোটি ৯২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা।
দুটি নির্বাচনের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পাঁচ বছরে স্বামী-স্ত্রীর জমি বেড়েছে ১৪০ একরের বেশি। আর বাড়তি এই জমির মূল্য দেখিয়েছেন এক কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা অবিশ্বাস্য। সব মিলিয়ে আসলামুল হকের সম্পদ বেড়েছে প্রায় ১৪ গুণ।
পাঁচ বছরে আসলামুল হকের শুধু সম্পদই বাড়েনি, বেড়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতাও। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ছিলেন অষ্টম শ্রেণী পাস। আর এখন তিনি বিবিএতে (স্নাতক ব্যবসায় প্রশাসন) অধ্যয়নরত বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।