সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন মেয়র জাহাঙ্গীর
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমার বিষয়ে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দেওয়া হয়েছে। আমি যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি আমার ওই অডিও/ভিডিওর বিষয়ে কথা বলতে পারতাম, তবে প্রধানমন্ত্রী সবকিছু বুঝতে পারতেন। তখন তিনি হয়তো আমার ব্যাপারে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেন না।
আজ শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় গাজীপুর মহানগরীর হারিকেন এলাকায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় কেঁদে ফেলেন জাহাঙ্গীর।
তিনি বলেন, আমার বক্তব্যের একটি অংশ সুপার এডিট করে তার ভিডিও এবং অডিও করে ইন্টারনেটে ভাইরাল করা হয়েছে। আমি যখন ছাত্র রাজনীতিতে ছিলাম, তখন থেকেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। পরবর্তীতেও আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র থামেনি। প্রধানমন্ত্রীকে ভুল তথ্য দিয়ে আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।
ভাইরাল অডিও সম্পর্কে তিনি বলেন, মূল কথা বাদ দিয়ে আংশিক কথা দিয়ে আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। কিছু লোক ২০১৩ সালের পর থেকেই আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য পেছনে লেগে ছিল।
তিনি বলেন, আমার বুঝ হওয়ার পর থেকেই আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের সাথে আছি। আমার অস্তিত্বের মধ্যে সব জায়গায় রয়েছে মাননীয় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর আদর্শ স্থান। বঙ্গবন্ধুর জন্য, আওয়ামী লীগের জন্য এবং প্রধানমন্ত্রীর জন্য যদি আমাকে জীবন দিতে হয়, আমি দেব। আমার অনুরোধ আমাকে যেন মিথ্যা কিছুর মধ্যে জড়িত না করা হয়। মিথ্যা অপবাদ যেন না দেওয়া হয়।
জাহাঙ্গীর বলেন, মেয়র হিসেবে তিন বছর আমি কোথাও চিফ গেস্ট হতে চাইনি। আমি রাস্তার ধারে ধারে ঘুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতায় মানুষের জন্য কাজ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি আকুল আবেদন করব গাজীপুরবাসীর জন্য এবং আমার জন্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভায় জাহাঙ্গীরকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।