আমির খানের পরামর্শ গ্রহণ করেছে ভারত সরকার
বিনোদন ডেস্ক : বলিউড অভিনেতা আমির খান সঞ্চালিত টিভি অনুষ্ঠান ‘সত্যমেব জয়তের’ দ্বিতীয় সিজনের প্রথম এপিসোডের বিষয়বস্তু ছিল ভারতে বাড়তে থাকা ধর্ষণ এবং তা থেকে প্রতিকার। গত রোববার সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে যৌন নির্যাতনের শিকার মহিলাদের চিকিৎসার জন্য একটি অভিন্ন ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছিলেন সঞ্চালক আমির খান। পাশাপাশি ধর্ষণ নির্ণয়ে বহুকাল ধরে প্রচলিত অমানবিক ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ পরীক্ষা অবলুপ্তির দাবিও করেন এই বলিউড তারকা। তার পরামর্শ গ্রহণ করেছে ভারত সরকার।
এর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বিতর্কিত এই টু ফিঙ্গার টেস্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে এক নির্দেশনা জারি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার জারি হওয়া ওই নির্দেশনায় দেশের সবকটি হাসপাতালে যৌন হয়রানির শিকার নারীদের চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ কেবিন তৈরি করতে হবে।
অন্যান্য চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের মানসিক অবস্থা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এছাড়াও নির্দেশনায় পরিষ্কার বলা হয়েছে, যৌন নির্যাতনের শিকার কোনো নারী হাসপাতালে এলে পুলিশে এফআইআরের বদলে আগে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। ওই বিশেষ কেবিনেই থাকবে ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থাও। কোন কোন ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ করা হলো তা নির্দিষ্ট ফর্মে লিখে রাখতে হবে। ওই নির্দেশনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নির্যাতিতা মহিলার গোপনীয়তার ওপর। ফলে ওই বিশেষ কেবিনে যেখানে নির্যাতিতার চিকিৎসা হবে সেখানে চিকিৎসক ও নার্স ছাড়া অন্য কেউ থাকতে পারবেন না। যদি চিকিৎসক পুরুষ হন, তবে বাধ্যতামূলকভাবেই সেখানে থাকবেন একজন মহিলা অ্যাটেন্ডেন্ট। ওই বিশেষ কেবিনেই থাকবে জামাকাপড়। উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে। তবে পুরো চিকিৎসা পদ্ধতি শুরুর আগে প্রয়োজন পড়বে নির্যাতিতার সম্মতির। নির্যাতিতার বয়স ১২ বছরের কম হলে বা সম্মতি দেওয়ার মতো অবস্থায় না থাকলে, তার হয়ে সম্মতি দেবেন মা-বাবা।
চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পূর্ণ জানিয়ে তবেই শুশুূষা শুরু করতে হবে চিকিৎসককে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য মিলবে যৌন নির্যাতন ইস্যুতে কাজ করা এনজিওর কাছে।