করোনা নিয়ন্ত্রণে চীনের পরেই বাংলাদেশ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারের নানা উদ্যোগে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও অনেক উন্নত দেশের চেয়ে অনেক কম। জনসংখ্যার হিসেব করলে পৃথিবীর অনেক দেশের থেকে বাংলাদেশ কভিড নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি কাজ করেছে। হয়তো চীনের নিচে থাকতে পারে কারণ চীনের হিসেবটি একটু আলাদা
আজ সোমাবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে সোসাইটি অব মেডিসিন আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা, বিশ্বে চায়নার পরে সবার ওপরে। এ পর্যন্ত দেশে ৯ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। দেশের ভ্যাকসিন দেওয়ার মতো মানুষের মধ্যে ৪০ শতাংশকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। ২৫ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। দুই থেকে তিনটি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আরো দেড় কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে শিগগির।
মন্ত্রী বলেন, শূন্য থেকে কভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা শুরু করেছিলাম আমরা। ১ ল্যাব থেকে ৮০০টি ল্যাব করা হয়েছে। দিনে ২০ থেকে ৫০ হাজার টিকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য তৈরি হয়েছে এখন। কভিড অবস্থার মধ্যে এক সঙ্গে পনেরো হাজার ডাক্তার ও ২০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সারা দেশে ১৮ হাজার কভিড বেড রয়েছে তার মধ্যে এখন ১ হাজার বেডেও চিকিৎসাধীন কোনো লোক নেই। এর মানে হলো ৯৫ ভাগ খালি রয়েছে এখন। নয় কোটি মানুষকে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।