ভুলে যাওয়ার মতো দিন কাটাল টাইগাররা
দিনের প্রথম সেশনে ব্যাট হাতে গুটিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের বোলিংটাও যেন নির্বিষ হয়ে গেল। চেয়ে চেয়ে পাকিস্তানের দুই ওপেনারের ব্যাটিং দেখা ছাড়া দিনের দুই সেশনে আর যেন কিছুই করার রইল না মুমিনুল বাহিনীর। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ভালো অবস্থানে আছে পাকিস্তান। অতিথিদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৪৫ রান। বাংলাদেশের চেয়ে তারা পিছিয়ে আছে ১৮৫ রানে। ব্যাটিং কিংবা বোলিংয়ে এই দিনটি বাংলাদেশের জন্য চরম ব্যর্থতার। এই ব্যর্থতার গল্প দ্রুত মাথা থেকে সরাতে পারলেই কাল থেকে নতুন উদ্যমে মাঠে নামা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশের ৩৩০ রানের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংস দেখেশুনে শুরু করে পকিস্তান। সময় গড়ানোর সাথে সাথে উইকেটও বেশ সহজ হয়ে যায়। বল সুন্দরভাবে ব্যাটে আসতে থাকে। দুই ওপেনার আবিদ আলী আর আবদুল্লাহ শফিক ধীরেসুস্থে শুরু করলেও পরে রানের গতি বাড়ান। আবিদ তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি। আব্দুল্লাহ ব্যক্তিগত ৯ রানে এলবিডাব্লিউ হলেও আম্পায়ার দেননি। বাংলাদেশও রিভিউ নেয়নি।
৩৭ ওভারে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি তিন অংক ছুঁয়ে ফেলে। সময় যত গড়াতে থাকে, বাংলাদেশি বোলারদের বোলিংয়ের ধার যেন কমতে থাকে। পাকিস্তান দিন শেষ করে বিনা উইকেটে ১৪৫ রান তুলে। আবিদ আলী ১৮০ বলে ৯ চার ২ ছক্কায় ৯৩* আর আবদুল্লাহ শফিক ১৬২ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৫২* রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আজ শনিবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রানে অল-আউট হয় বাংলাদেশ। ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর লিটন দাস আর মুশফিকুর রহিম ২০৬ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেন। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন দাস। তার ২৩৩ বলে ১১৪ রানের ঝলমলে ইনিংসটি ছিল ১১টি চার এবং ১টি ছক্কায় সাজানো। মুশফিক তিন অংকের খুব কাছে গিয়েও আউট হন ২২৫ বলে ৯৫ রানে। শেষের দিকে ৩৮* রানে অপরাজিত থাকেন সঙ্গীহীন মেহেদি মিরাজ। ২০.৪ ওভারে ৫১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ধসিয়ে দেন পেসার হাসান আলী।