ভিয়ারিয়ালের মাঠে জয় পেল বার্সেলোনা
প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার রাতে লা লিগায় ৩-১ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা।চলতি লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে এটাই তাদের প্রথম জয়।ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের গোলে লিড নেয় বার্সা। কিন্তু ছন্দপতনে সমতা টানেন স্যামুয়েল। ১-১ সমতায় খেলা শেষ হবে বলে ধারণা চলছিল।পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় ভুগছিল কাতালানরা। শেষ দিকে মেমফিস ডিপাই দলকে আবারও এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান ফিলিপে কুতিনহো।ঘরের মাঠে বার্সাকে পেয়ে আক্রমণ বেশি করেছে ভিয়ারিয়ালই। তবে আক্রমণগুলো ছিল ছন্নছাড়া। ১৪ শটের মাত্র দুটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে বার্সেলোনার ১২ শটের ছয়টি লক্ষ্যে ছিল। প্রথম সুযোগ আসে তৃতীয় মিনিটে। তরুণ উইঙ্গার আবদের হেড দারুণ নৈপুণ্যে কোনোমতে ঠেকান গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি। অষ্টম ও দশম মিনিটে গোল করার মতো পজিশন থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে হতাশা বাড়ান মেমফিস ও গাবি।পাল্টা আক্রমণে ভালো একটি সুযোগ হাতছাড়া করে ভিয়ারিয়াল। ১৮তম প্রতি-আক্রমণে উঠে শেষ ডিফেন্ডারকে কাটিয়েও লক্ষ্যে শট রাখতে পারেননি ডাচ ফরোয়ার্ড মেমফিস।৩২তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ভিয়ারিয়েল। ফাঁকা জাল পেয়েও পাও তরেসের হেড গোলপোস্টের উপর দিয়ে উড়ে যায়।গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয় প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় বার্সেলোনা।বাঁ দিক থেকে জর্দি আলবার গোলমুখে বাড়ানো ক্রসে মেমফিসের টোকা ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক, কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি তিনি। পেছনেই বল পেয়ে যান ডি ইয়ং। তিনি জালে জড়িয়ে দেন অনায়াসেই।৭৬তম মিনিটে সমতা টানে ভিয়ারিয়ালের স্যামুয়েল। মিডফিল্ডার সের্হিও বুসকেতস ও ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকে পারেননি প্রতিপক্ষকে বাধা দিতে। বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে দারুণ শটে জালে জড়িয়ে দেন এই নাইজেরিয়ার উইঙ্গার।৮৮তম মিনিটে বলতে গেলে জয়সূচক গোলটি আসে মেমফিসের পা থেকে। গোলরক্ষক টের স্টেগানের লম্বা শটকে নিজেদের ডি-বক্সের সামনে থেকে হেডে গোলরক্ষককে ব্যাকপাস দেওয়ার চেষ্টা করেন ডিফেন্ডার এস্তুপিনান।কিন্তু বল পেয়ে যায় মেমফিস। নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষককে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান তিনি। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সা।যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হন ১০ মিনিট আগে বদলি নামা কুতিনহো।পেনাল্টিটিতে সফল স্পট কিকে স্কোরলাইন ৩-১ করেন ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার।চলতি লা লিগায় ১৪ ম্যাচে বার্সেলোনার এটি মাত্র ষষ্ঠ জয়। সঙ্গে পাঁচ ড্রয়ে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে তারা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ১২ নম্বরে ভিয়ারিয়াল।১৩ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ।