বাংলাদেশ-ভারত একে অপরের পরিপূরক : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৈচিত্র্যময়, বহুমুখী, বহুমাত্রিক এবং ক্রমবিকাশমান। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে আমরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি সোনালি অধ্যায় পার করছি। ভৌগোলিক অখণ্ডতা, শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি তাঁদের অঙ্গীকার, ভূমি সীমানা সমস্যার বন্ধুত্বপূর্ণ নিষ্পত্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তব ফলাফল অর্জনে সহায়তা করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার এবং ভারত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। উভয় দেশের ভূ-কৌশলগত অবস্থান একে অপরের পরিপূরক এবং যৌথ অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জনের অন্যতম প্রধান নিয়ামক।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল সোমবার (০৬ ডিসেম্বর) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির সাপ্রু হাউসে ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে ‘মৈত্রী দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে Indian Council of World Affairs (ICWA) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ঐতিহাসিক এবং আত্মার ও রক্তের বন্ধন আখ্যায়িত করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের পাশাপাশি ১৮ হাজারের বেশি ভারতীয়কে জীবন উৎসর্গ করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পাশে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড’ এবং ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জন্য ভারতের নিঃস্বার্থ সমর্থন আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করব।
কে এম খালিদ বলেন, ২০২১ সাল বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। কেননা এ বছর আমরা যুগপৎভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছি। আজকের ‘মৈত্রী দিবস’-এর যৌথ উদযাপন আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিহাসে আরেকটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। স্বাগত বক্তব্য দেন ICWA-এর মহাপরিচালক বিজয় ঠাকুর সিং। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন ICWA-এর পরিচালক (গবেষণা) ড. নিবেদিতা রায়।
অনুষ্ঠানে ভারত-বাংলাদেশ ‘মৈত্রী দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করে শোনানো হয় এবং ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।