পরের মহামারির জন্য বিশ্ব অপ্রস্তুত, বলছে গবেষণা
পরবর্তী মহামারির ব্যাপারে সারাবিশ্ব অপ্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে এবং বেশিরভাগ দেশ রোগের ছোট প্রাদুর্ভাবের জন্যও প্রস্তুত নয়। গত বুধবার গবেষকরা এ তথ্য জানিয়েছেন। ডাব্লিউএইচডিএইচ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সূচকে কোনো দেশই ভালো স্কোর করেনি। নিউক্লিয়ার থ্রেট ইনিশিয়েটিভ, ইকোনমিস্ট ইমপ্যাক্ট এবং ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের জন হপকিন্স সেন্টার ফর হেলথ সিকিউরিটি একত্রে বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা এবং সমস্যার জন্য প্রস্তুতির ব্যাপারে অনুসন্ধান চালিয়েছে। তারাই এ তথ্য বের করে এনেছে।
গবেষকরা বলছেন, ২০২১ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সূচক দেখায় যে, সব দেশে এখনও কিছু সক্ষমতার অভাব রয়েছে; যার কারণে তারা করোনা মোকাবিলায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ভবিষ্যতে অন্য মহামারির ক্ষেত্রেও তাদের প্রস্তুতির স্বল্পতা রয়েছে।
জানা গেছে, ২০২১ সালে বিশ্বের দেশগুলোর গড় স্কোর ১০০ এর মধ্যে মাত্র ৩৮.৯। সবচেয়ে বেশি স্কোর উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের, তাদের স্কোর ৭৬।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের ১১৩টি দেশে প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে কোনো রোগ সংক্রমণ ঘটার ব্যাপারে সামান্য সচেতনতাও দেখা যায়নি।
জন হপকিন্স সেন্টার ফর হেলথ সিকিউরিটির গবেষক ড. জেনিফার নাজো বলেন, নেতাদের সামনে অবশ্য বিকল্প ব্যবস্থা আছে। তারা করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর নিজেদের দেশকে দীর্ঘমেয়াদে প্রস্তুত করার জন্য সক্ষমতা বাড়াতে পারেন। এছাড়া টেকসই বিনিয়োগ করতেও পারেন। কিংবা তারা কয়েক দশক-ব্যাপী আতঙ্ক-ও-অবহেলার চক্রে ফিরে যেতে পারেন; আর এটা করা হলে বিশ্ব ভবিষ্যতে বিশ্ব জনস্বাস্থ্য গুরুতর ঝুঁকিতে পড়বে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৫টি দেশের মধ্যে ১৫৫টি দেশ গত তিন বছরে মহামারি বা মহামারির প্রস্তুতিতে, ক্লিনিকে, হাসপাতালে এবং কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনিয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছে।