যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর আঘাত, ৫০-এরও অধিক প্রাণহানির আশঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বঞ্চলীয় রাজ্য কেনটাকিসহ আশপাশের কয়েকটি রাজ্যে আঘাত হানা টর্নেডোতে বেশ বড় সংখ্যার প্রাণহানি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার বলেন, ঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবেশী রাজ্যগুলো থেকেও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি আশঙ্কা করছি কেনটাকিতে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যাটি হতে পারে ৭০ থেকে ১০০ এর মধ্যে। ঝড়টি ছিল ভয়ানক এবং ধ্বংসাত্মক। তিনি আরো বলেন, আমি রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছি।
কেনটাকির ইতিহাসে ‘সবচেয়ে ভয়ানক’ ঝড় ছিল এটি। ঘণ্টায় ২০০ মাইল (৩২২ কিলেমিটার) বেগে এটি কেনটাকির ওপর দিয়ে বয়ে যায়।
খারাপ আবহাওয়ার কারণে বেশ কিছু দালান ধসে পড়ে মেফিল্ডে। বিষয়টি জানিয়েছেন সারাহ বার্গিস, যিনি কেনটাকি স্টেট পুলিশের একজন ট্রুপার। মেফিল্ডের একটি ক্ষতিগ্রস্ত মোমবাতির কারখানায় বেশ কজন আটকে আছেন বলেও জানান তিনি। পুরো দালানটি মাটিতে মিশে গেছে- এমন মত তার।
প্রতিবেশী রাজ্য টেনেসিতে অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্ট রাজ্যের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র ডিন ফ্লেনারকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানায়। মার্কিন গণমাধ্যম জানায়, উত্তর আরকানসাসের মনেটে একটি নার্সিং হোমের ছাদে টর্নেডোর আঘাতে অন্তত একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছে।
ইলিনয় কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার গভীর রাতে টর্নেডো এবং শক্তিশালী ঝড়ের পরে সেন্ট লুইসের কাছে একটি আমাজন গুদামের ছাদ আংশিকভাবে ধসে পড়ে অনেক লোক আটকা পড়েছিল