অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যার্পণ করা যেতে পারে, রায় দিলো ব্রিটিশ আদালত
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয় আরো একধাপ এগিয়ে এসেছে। সম্প্রতি এ রায় দিয়েছে যুক্তরাজ্যের আদালত। বছরের প্রথমে রায়ে বলা হয়েছিলো মানসিক অসুস্থতার কারণে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে প্রত্যার্পণ করা হবেনা। তবে পরবর্তীতে পরিস্থিতি কী হতে পারে এই নিয়ে শুরু হয়েছে নানা প্রশ্ন।
২০১০ ও ২০১১ সালে হাজার হাজার মার্কিন নথি ফাঁসের অভিযোগে গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘনের কারণে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে বিচারের আওতায় আনতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রসিকিউটর এবং পশ্চিমা নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অ্যাসাঞ্জকে রাষ্ট্রের একজন শত্রু হিসাবে বিবেচনা করেন যার ক্রিয়াকলাপ সেই এজেন্টদের জীবনকে বিপন্ন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া তথ্য মতে এর মাধ্যমে শ’খানেক লোক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। অনেক মানুষ তাদের পরিবারকে নিয়ে দেশ ছেড়েছে।
১৭টি গুপ্তরচরবৃত্তির অভিযোগে ১৭৫ বছরের জেল হতে পারে ৫০ বছর বয়সী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের। তবে মার্কিন সরকার আপিলে বলছে, তিন থেকে ছয় বছরের বছরের সাজা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। দোষী সাব্যস্ত হলে অস্ট্রেলিয়া পাঠিয়ে তার শাস্তি দেওয়া হবে।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ পুলিশি হেফাজতে আছেন এবং বেলমার্শ কারাগারে থাকবেন তিনি। ২০১৯ সালে জামিনের শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে যুক্তরাজ্য পুলিশ অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করার পর থেকে বেলমার্শ কারাগারে বন্দি আছেন তিনি। সুইডেনে যৌন নিপীড়নের মামলা এড়াতে ২০১২ সালে অ্যাসাঞ্জ লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে সাত বছর তিনি সেখানেই ছিলেন। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যন অপরাধের তদন্ত বাদ দিয়েছে সুইডেন।