‘আওয়ামী লীগের বিজয় শোভাযাত্রা’ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা আয়োজন করে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ারস ইন্সটিটিউটের সামনে রাস্তায় খোলা ট্রাকের উপর তৈরি মঞ্জে শোভাযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শুরু হয়। এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্নয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।বক্তরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। দেশের-বিদেশে নানা ভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আজকের দিনে আমাদের শপথ সমস্ত অগণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান ও এ এইচ এম খাইরুজ্জমান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. দীপু মনি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, এডভোকেট আফজাল হোসেন ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ কামাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যে স্বাধীণতা অর্জন হয়েছিলো, তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে এই দেশের স্বাধীনতাকে শেষ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিলো। কিন্তু বিভিন্ন পথ পরিক্রমরা মধ্য দিয়ে তাঁর কন্যা শেখ হাসনিার নেতৃত্বে সেই স্বাধীণতা উৎযাপন করতে পারছি। বঙ্গবন্ধু এই স্বাধীণতার জন্য ২৩ বছরের মধ্যে সাড়ে ১৩ বছর কারা নির্যাতন ভোগ করেছিলেন। দুই দুইবার ফাঁসির মঞ্চের আসামি হয়ে বাংলার মানুষের জীবনের জয়গান গেয়ে মুক্তিপাগল জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তিনি বলেন,আজকে স্বাধীণতার উষালগ্নে বঙ্গবন্ধু যখন এই দেশের অর্থনেতিক মুক্তি দেয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিল তখণ তাকে স্বপরিবারের হত্যার মধ্য দিয়ে নব্যপাকিস্তান সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র হয়েছিলো। যখন দল ভাঙার রাজনীতি এই দেশে জিয়াউর রহমান শুরু করে, এই দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হত্যা করে, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে; সেই মুহূর্তে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচতি হয়ে দেশের এসে হাল ধরেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখণ বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করছি তখন বারবার তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর মতোই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে তিনি এগিয়ে গিয়েছেন। ১৯ বার মৃত্যুপথ যাত্রী শেখ হাসিনা জীবিত আছে বলেই বঙ্গবন্ধুর সেই অসমাপ্ত কাজ তিনি যেটা চেয়েছিলেন বাঙালি জাতির পৃথিবীর বুকে একটি মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। আজ তারই নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পৃথিবীল বুকে আত্মপ্রকাশ করেছে একটি সমৃদ্ধশালী জাতি হিসেবে, উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে।
বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, সকল ষড়যন্ত্র ভেদ করে দেশ এগিয়ে গেছে এবং এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই।আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পৃথিবীর কোন শক্তি ষড়যন্ত্রকরে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি থামাতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।হাছান মাহমুদ বলেন, গত ৫০ বছরের পথ চলায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের উন্নয় অগ্রগতির বিরুদ্ধে, বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। সমস্ত প্রবিবন্ধকতাকে উপরে ফেলে বাংলাদেশ আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের বাস্তবায়ন করে যেতে পরেননি, সেই স্বপ্নের পথে দূর্বার গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ আজ গর্ভিত জাতি।