থানায় আ.লীগের হামলা ভাঙচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক : নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হানকে আটক করা হয়েছে এমন গুজবে কবিরহাট থানায় হামলা ও ভাঙচুর করেছে স্থানীয়রা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৪০ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। এ ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- শাহাদাত হোসেন (২৬), আব্দুল ওয়াহিদ ফরোয়ানা (২৪), রিয়াজ উদ্দিন বাদশা (২৪) ও স্বপন (২২)। দুই পুলিশ সদস্যের নাম পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কবিরহাট পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন একত্রিত হয়ে থানায় হামলা চালায়। এ সময় তারা থানার বাইরের অংশে থাকা কাঁচ ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান বাংলামেইলকে বলেন, ‘পুলিশ রাতে ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সিরাজ মিয়ার ছেলে বকতিয়ার ও মনির হোসেনকে থানায় নিয়ে যায়।’
পরে খবর পেয়ে কেন তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে জানতে তিনি থানায় যান। এরইমধ্যে তিনি পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন থানায় আসেন। এ সময় লোকজন তাকে দেখার জন্য থানার ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে গেইটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এরই একপর্যায়ে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ সময় শাহাদাত হোসেন, আব্দুল ওয়াহিদ ফরোয়ানা, রিয়াজ উদ্দিন বাদশা ও স্বপন আহত হন।
আহতদের মধ্যে শাহাদাত হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বাকিরা নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলম ঘটনা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাত পৌনে ১২টার দিকে পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান থানায় আসেন। এরপরে আমরা কোনো কিছু বুঝার আগে তার দলীয় নেতাকর্মীরা থানায় এসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় তাদের হামলায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে।’
আহত পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে, পুলিশ কাউকে আটক করেনি বলে ওসি জানান।