‘১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে’
ডেস্ক রিপোর্ট : গত কয়েক মাস আগে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে চলতি অর্থবছরের যে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল তা থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে আনা হয়েছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন। এ সময় এনবিআরের বিভিন্ন বিভাগের সদস্য, সচিব ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী অর্থবছর ২০১৪-১৫ বাজেট পরিকল্পনা নিয়ে গোলাম হোসেন বলেন, এ বছর আমরা এমন একটি বাজেট প্রণয়ন করবো যাতে দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি সকল দিক থেকে ঊর্ধ্বমুখী থাকবে।
তিনি জানান, বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছরের তিন মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ও আমদানি রপ্তানির অনুকূলে ছিল না। তাই পরে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার রিভাইর্স টার্গেট দেওয়া হয়েছে।
গোলাম হোসেন জানান, সব মিলিয়ে বছরের প্রথম সাত মাসে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও গত বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি অনেক ভালো রয়েছে। এ পর্যন্ত শুল্ক বিভাগ ছাড়া অন্য দুটি অনুবিভাগ প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। এর মধ্যে শুল্ক অনুবিভাগে ১ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। আর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও আয়কর যথাক্রমে ১৪ শতাংশ ও ১১ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি রয়েছে।
এনবিআর’র চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বলেন, সরকার রাজস্ব প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর জন্য কাজ করছে। পুরো অটোমেশনের (সংক্রিয়) পদ্ধতির মাধ্যমে আগামীতে কাজ করবে এনবিআর। এ ছাড়া এনবিআরের সকল অনুবিভাগের আইন সংশোধন প্রক্রিয়ায় রয়েছে। গত ৭ মাসে আড়াই লাখ নতুন করদাতা করনেটে যুক্ত হয়েছে বলেও এ সময় জানান গোলাম হোসেন।
তিনি বলেন, আগামী ৫ বছরের জন্য রাজস্ব আদায়ের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন, বিভিন্ন বণিক সমিতি, খাত ভিত্তিক বিভিন্ন কর দাতা ও সরকারি স্ট্রেক হোল্ডারদের আলোচনা করা হবে। সেইসঙ্গে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগসহ (সিপিডি) বিভিন্ন অর্থনৈতিক বিশ্লেষক সংস্থা রয়েছে তাদের শরণাপন্ন হবে এনবিআর।