যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে এ ধরনের হৃদয়বিদারক ঘটনা এই প্রথম। গতকাল দিনভরই দেশবাসী উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা নিয়ে নজর রাখছিলেন এ বিভৎস্য ঘটনার দিকে। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন লেগে শতাধিক যাত্রী দগ্ধ হয়। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বহু যাত্রী। এর মধ্যে ৪১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী। এদের মধ্যে চারজন শিশু রয়েছে। লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দপদপিয়া এলাকায় আসলে গত বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুন লাগে। যাত্রীদের অভিযোগ, শুক্র ও শনিবার দু’দিন সরকারি বন্ধ থাকায় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী ছিল লঞ্চে। অগ্নিকাণ্ড থেকে জীবিত ফেরা অনেক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, আগুন লাগার পরও প্রায় ১ ঘন্টা চলছিল লঞ্চটি।ঢাকা থেকে আট শতাধিক যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল এমভি অভিযান নামে যাত্রীবাহী লঞ্চটি। রাতে ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুন লাগে। এসময় কেবিনের যাত্রীরা ঘুমিয়ে ছিলেন। লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে শতাধিক যাত্রী দগ্ধ হয়। এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা। দগ্ধ যাত্রীদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করছেন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন উদ্ধার কাজে নিয়োজিতরা।