ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়ছে, এরই মধ্যে হাজির ডেলমিক্রন!
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। করোনার নতুন এই ধরন বিশ্বজুড়ে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই তৈরি করছে ডেলমিক্রন।
মূলত, করোনাভাইরাসের ওমিক্রন এবং ডেল্টা ধরন মিলিয়ে তৈরি হয়েছে ডেলমিক্রন। টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডেল্টা এবং ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট মিলিয়ে গড়ে ওঠা ধরন পশ্চিমা দেশে করোনা সংক্রমণের সুনামি চালাচ্ছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি নতুন কোনো ধরন নয়। বরং আগের দুই ধরন মিলিয়ে এটি তৈরি হয়েছে। ডেল্টা এবং ওমিক্রন উপস্থিত থাকা অবস্থায় এ দুটি মিলিয়ে তৈরি হওয়া ডেলমিক্রন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন কোনো ব্যক্তি ডেল্টা ধরনের আক্রান্ত হওয়ার পর ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন, তখন তিনি ডেলমিক্রন আক্রান্ত হচ্ছেন। এরপর ওই ব্যক্তি ডেলমিক্রন ছড়াচ্ছেন।
এ ছাড়া যখন কোনো ব্যক্তি ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে উঠছেন; তারপর ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
ভারতীয় চিকিৎসক ডা. শশাঙ্ক যোশী বলেছেন, ডেল্টা এবং ওমিক্রন ধরন মিলিত হয়েই এই ডেলমিক্রনের সৃষ্টি। অজান্তেই ইউরোপে এরই মধ্যে ডেলমিক্রন সংক্রমণের মিনি সুনামি আছড়ে পড়েছে।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সতর্ক করেছেন, বুস্টার ডোজের ওপর এখনই বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আপাতত দুটি করে ডোজ দিয়ে প্রতিটি দেশকেই ২০২২ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ নাগরিককে টিকাদান করতে হবে। তার সেই বক্তব্য ডেলমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে কতটা কার্যকর হবে তা এখনো জানা যায়নি।
ডেলমিক্রন আক্রান্তদের উপসর্গ এখনো জানা যায়নি। কারণ এ ধরনের রোগী নিয়ে এখনো কোনো সমীক্ষা চালানো হয়নি।
আউটলুক ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, যারা শারীরিকভাবে দুর্বল এবং বয়স্ক, তারা ডেলমিক্রনে আক্রান্তের ঝুঁকিতে আছেন। একবার করোনার ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠা ব্যক্তিদেরও সতর্ক থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।