কিংসম্যান আসছেন স্টার সিনেপ্লেক্সে!
৭ জানুয়ারি স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেতে যাচ্ছে কিংসম্যান সিরিজের নতুন ছবি ‘দ্য কিংস ম্যান’। ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া সিরিজের প্রথম ছবি ‘কিংসম্যান: দ্য সিক্রেট সার্ভিস’ অপ্রত্যাশিত সাড়া জাগিয়েছিলো। এরপর থেকেই দর্শকরা মুখিয়ে ছিলেন সিক্যুয়ালের। ২০১৭ সালে মুক্তি দেয়া হয় দ্বিতীয় ছবি ‘কিংসম্যান: দ্য গোল্ডেন সার্কেল’। ছবিটিতে অভিনয় করেছিলেন কলিন ফার্থ, জুলিয়ান মুর, হ্যালি বেরি, চ্যানিং ট্যাটাম, জেফ ব্রিজেসের মতো বাঘা বাঘা তারকারা। ছিলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ গায়ক অ্যালটন জনও। এবার মুক্তি পাচ্ছে সিরিজের তৃতীয় ছবি। তবে এবারের ছবিতে বদলে গেছে অনেক কিছুই। পরিচালনায় যথারীতি ম্যাথিউ ভন থাকলেও আগের ছবির তারকাদের দেখা যাবে না এ ছবিতে।
‘দ্য কিংস ম্যান’ শিরোনামের এ ছবিতে অভিনয় করেছেন রাফ ফ্লেনেস, জেমা আর্টারটন, ম্যাথিউ গুডি, টম হল্যান্ডার, হ্যারিস ডিকিনসন, চার্লস ড্যান্ডস প্রমুখ। ছবিটি ২০২০ সালে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে সেটা হয়নি। কয়েক দফা মুক্তির তারিখ পেছানোর পর অবশেষে গেল ২২ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে এবং ২৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে ছবিটি মুক্তি পায়। ভারতে মুক্তি পেয়েছে ৩১ ডিসেম্বর।
স্পাই অ্যাকশন ঘরানার এ ছবির কাহিনি এগিয়েছে আগের ছবির পথ ধরেই। আগের ছবিতে মূল খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী জুলিয়ান মুর। প্রথম পর্বে কলিন ফার্থ রূপায়িত চরিত্রটির মৃত্যু দেখানো হলেও তাকে পরবর্তী পর্বেও দেখানো হয়। এবার আর তাকে দেখা যাবে না। প্রথম ছবিটি দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় আন্তর্জাতিক একটি গোয়েন্দা সংস্থা কিংসম্যান-এর সাথে। গোয়েন্দাকাহিনী নির্ভর সিনেমাপ্রেমীরা দারুণভাবে লুফে নেয় ছবিটি। এরপর থেকে কিংসম্যান ভক্তরা অপেক্ষা করতে থাকে সিক্যুয়ালের জন্য। এবারের সিনেমার কাহিনীতে আছে কিংসম্যান-এর সহযোগী আরেক অ্যামেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা স্টেটম্যান।
কিংসম্যান-এর হেডকোয়ার্টার ভেঙ্গে চুরে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার পর এই দুই স্পাই এজেন্সি একত্রে তাদের শত্রুকে ধরাশায়ী করার মিশনে নামে। আগের ছবির চরিত্রদের মত এবার বদলে গেছে মিশনের ধরণও। চিত্রায়ন করা হয়েছে আকর্ষণীয়ভাবে। অ্যাকশন দৃশ্যগুলো আরও চমকপ্রদ এবং চোখ ধাঁধানো। আগের ছবিগুলো যারা দেখেছেন তারা তো রীতিমত অপেক্ষায় ছিলেন নতুন ছবি দেখার জন্য। অপেক্ষাটা যে বিফলে যায়নি তা বোঝা যাচ্ছে দর্শকদের আগ্রহ দেখে। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সিনেমা হলগুলোতে মুক্তির প্রথম দিনেই অনেক দর্শকের সারি প্রযোজক-পরিচালকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। ‘স্পাইডার-ম্যান: নো ওয়ে হোম’, ‘দ্য ম্যাট্রিক্স রিজারেকশনস’-এর মত বড় বড় ছবিগুলো যখন চলছে তখন তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলা একটু কঠিন হলেও সাফল্যের ব্যাপারে এখনো আশাবাদী নির্মাতারা।