বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির জরুরি সভা আগামীকাল
সাড়ে তিন বছর পর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে জরুরি সভার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর ঢাকা কলেজে এ সভা ডেকেছেন বিদায়ি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার।
বিসিএস ক্যাডারে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সদস্য শিক্ষা ক্যাডারে। প্রায় ১৫ হাজার সদস্যদের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। কিন্তু সাড়ে তিন বছর আগে সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এত দীর্ঘ সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া এই ক্যাডারের জন্য একটি নজিরবিহীন ঘটনা।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর সেলিম উল্লাহ খোন্দকার স্বাক্ষরিত জরুরি সভার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সমিতির গঠনতন্ত্রের ধারা-৮ এ বলা হয়েছে, দুই বছরের দায়িত্ব গ্রহণ শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে দুই মাস করে চার মাস সময় নিতে পারবে কেন্দ্রীয় কমিটি। এরপরও নির্বাচন না হলে বিলুপ্ত হবে কমিটি। পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে ২০ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করতে হবে। এই কমিটি তিন মাসের মধ্যে তফসিল ও ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করবে। অন্যথায় সাধারণ সভা বা জরুরি সভা আহবান করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ব্যত্যয় ঘটিয়ে একতরফা এবং অবৈধভাবে ভোটার তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণের প্রেক্ষিতে জরুরি সাধারণ সভা আহবান করা হয়েছে।
শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা বলছেন, অতীতে এতো দীর্ঘ সময় নির্বাচনবিহীন অবস্থায় থাকেনি বিসিএস শিক্ষা সমিতি। মূলত সমিতির সাবেক মহাসচিব নির্বাচন না দিয়ে ক্ষমতা নিজের হাতে রাখতেই এই অবস্থার সৃষ্টি করেছেন। সমিতিকে রক্ষার শেষ চেষ্টার অংশ হিসেবে এ সাধারণ সভা আহবান করা হয়েছে।
এই সভা আহ্বানের ফলে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের নেতৃবৃন্দ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। এই সভা থেকেই তারা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা ও একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষা ক্যাডারের প্রায় সকল কর্মকর্তাই সভায় অংশগ্রহনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জানা যায়, সর্বশেষ কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২০১৬ সালের ১ জুন। দ্বিবার্ষিক এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৮ সালের ১৪ জুন। এরপর কোনো নির্বাচন ছাড়াই দিন পার করছে সমিতি।