শিল্পকলা একাডেমিতে ১০ দিনের জাতীয় পিঠা উৎসব
মুখরোচক বাহারি পিঠা-পুলি নিয়ে শুরু হয়েছে জাতীয় পিঠা উৎসব। বুধবার (৫ জানুয়ারি) শিল্পকলা একাডেমিতে ১০ দিন ব্যাপী এ উৎসব শুরু হয়। একাডেমির কফি হাউজের মুক্তমঞ্চ থেকে নানা রঙের বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
পিঠার উৎসব চলবে প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। পিঠা খাওয়া ও বিকিকিনির পাশাপাশি প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হবে নাচ, গান, আবৃত্তি, অ্যাক্রোবেটিকসহ ও পথনাটকসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালা।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী কে এমন খালিদ বলেন, পিঠা বাঙালির চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। শীত আর পিঠা একে অপরের পরিপূরক। বাংলার গ্রামের মা, চাচি, খালা, বোন, ভাবিদের চিরায়ত সেই ঐতিহ্য নগরজীবন থেকে হারিয়ে যাওয়ার পথে। আবহমান বাংলার এ ঐতিহ্যকে তুলে ধরার লক্ষ্যে পিঠা উৎসবকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে।
এবার সারাদেশের পিঠাশিল্পীদের অংশগ্রহণে প্রায় ৫০টি স্টল দিয়ে সাজানো হয়েছে এ উৎসব। আর সেসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ২০০ রকমের পিঠা। এসব পিঠার মধ্যে মালাই পিঠা, মুঠি পিঠা, আন্দশা, কুলশি, কাটা পিঠা, কলা পিঠা, খেজুর পিঠা, ক্ষীর কুলি, গোকুল পিঠা, গোলাপ ফুল পিঠা, সর ভাজা, পুলি পিঠা, পাতা পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান পিঠা, নারকেলের সেদ্ধ পুলি, নারকেল জিলাপি, তেলের পিঠা, তেলপোয়া পিঠা, চাঁদ পাকান পিঠা, ঝুরি পিঠা, ছাঁচ পিঠা, দুধ চিতই, বিবিখানা, ভাঁপা পিঠা, চিতই পিঠা, ঝাল পিঠা, মালপোয়া, নকশি পিঠা উল্লেখযোগ্য।
উদ্বোধনী আনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যজন আতাউর রহমান, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদ, উৎসবের পৃষ্ঠপোষক সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জাফর সিদ্দিকী, নৃত্যশিক্ষক আমানুল হক প্রমুখ।