মাত্র তিন দিনেই আপনার শরীরে বাসা বাঁধবে ওমিক্রন
স্কটল্যান্ডে কভিড-১৯-এর প্রকোপ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মোট ১১ হাজার ৩৬০ জন করোনা পজিটিভ হয়েছে।
করোনার প্রভাব বিস্তারকারী নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন পূর্ববর্তী রূপগুলোর তুলনায় কিছুটা ভিন্ন বৈশিষ্ট্য বহন করে। যদিও অনেকে নানা ধরনের উপসর্গের কথা বলে। তবে শেষ পর্যন্ত সবাই গিয়ে ওই সাধারণ সর্দি-কাশিতেই থিতু হয়। যাহোক, এ পর্যন্ত পরিচালিত বেশ কয়কেটি গবেষণায় জানা গেছে, সাধারণভাবে ওমিক্রন ডেল্টা বা আলফার তুলনায় আপনাকে কম গুরুতর অসুস্থ করবে।
দৈনিক সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির রেকর্ড থেকে বলা যায়, ওমিক্রনে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি অন্যান্য ভেরিয়েন্টের তুলনায় দু-তৃতীয়াংশ কম।
ওমিক্রনের ইনকিউবেশন পিরিয়ড কত দিন?
প্রথমে আমরা ইনকিউবেশন পিরিয়ড সম্পর্কে জেনে নিই। এটি হলো কোনো নির্দিষ্ট শরীরে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার সময়কাল। গবেষকরা মনে করছেন স্ট্রেনের ক্ষমতা এর ইনকিউবেশন পিরিয়ড এবং প্রাথমিক লক্ষণের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) বলছে, কভিড সংক্রমিত কারো মধ্যে গড়ে পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন, কিছু ক্ষেত্রে এটি ১৪ দিন পর্যন্ত সময় নিতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, ওমিক্রনের ইনকিউবেশন পিরিয়ড তার চেয়ে বেশ কম। গবেষণা বলছে, এটি তিন দিন হতে পারে।
গত মাসে, যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেছিলেন, ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ থেকে জানা যায় যে ডেল্টা ভেরিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন আরো কম সময়ে সংক্রমিত হতে সক্ষম।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস কভিড লক্ষণগুলোকে জ্বর, ক্রমাগত কাশি এবং স্বাদ ও গন্ধহীনতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছে। তবে তাদের আশঙ্কা, ওমিক্রনের লক্ষণগুলো আরো বিস্তৃত হতে পারে। তারা নাক দিয়ে পানি পড়া, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, হাঁচি এবং গলা ব্যথাকে ওমিক্রন সংক্রমণের সন্দেহভাজন শীর্ষ পাঁচ উপসর্গ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
জেডওই কভিড স্টাডি অ্যাপের প্রধান বিজ্ঞানী প্রফেসর টিম স্পেক্টর বলেন, ‘আমাদের সাম্প্রতিক ডাটা অনুযায়ী ওমিক্রনের লক্ষণগুলো প্রধানত সর্দি, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা এবং হাঁচি। আমরা ডেল্টা আক্রান্ত এলাকার মতো ওমিক্রন আক্রান্ত এলাকাতেও বুস্টার নিয়েছে, এমন লোকেদের মাঝে সংক্রমণ দেখতে পাচ্ছি। তবে ভ্যাকসিন এখনো অনেকটাই সুরক্ষামূলক এবং অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র।’
ওমিক্রন যেহেতু যুক্তরাজ্য ও স্কটল্যান্ডে একটু বেশিই ছড়িয়ে পড়েছে তাই স্কটিশ সরকার এ সপ্তাহের শুরুতে আইসোলেশনের নিয়মে পরিবর্তন এনেছে। সম্পূর্ণভাবে টিকাপ্রাপ্ত স্কটিশরা তাদের আইসোলেশন থেকে সাত দিনের মধ্যেই বেরিয়ে যেতে পারবে, যদি তারা পর পর দুটি পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়।