গেল বছর সড়কে ঝরেছে ৬২৮৪ প্রাণ
গতবছর সারা দেশে পাঁচ হাজার তিনশ ৭১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ছয় হাজার দুইশ ৮৪ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন সাত হাজার চারশ ৬৮ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ৯২৭, শিশু সাতশ ৩৪ জন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে। আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি দুই হাজার ৭৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত দুই হাজার দুইশ ১৪ জন, যা মোট নিহতের ৩৫ দশমকি ২৩ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হার ৩৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। দুর্ঘটনায় এক হাজার পাঁচশ ২৩ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন সাতশ ৯৮ জন, অর্থাৎ ১২ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন বলছে, ৭৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৫৯ জন নিহত, ১৯২ জন আহত এবং ৪৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ঝালকাঠির সুগন্ধ নদীতে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫১ জন নিহত, ২৩ জন চিকিৎসাধীন এবং অজ্ঞাতসংখ্যক নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া ঈদে ঘরমুখো যাত্রায় সময় ফেরিঘাটে ৬ জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে ১২৩টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৪৭ জন নিহত এবং ৩৯ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, নিরাপদ সড়ক চাইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর সারা দেশে সড়ক রেল ও নৌ পথে চার হাজার ৯৮৩টি দুর্ঘটনায় পাঁচ হাজার ছয়শ ৮৯ জন মারা গেছেন। আর আহত হয়েছেন আরো পাঁচ হাজার আটশ পাঁচ জন। আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জহিরুল হক মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনটি সড়ক দুর্ঘটনায় এসব তথ্য তুলে ধরে।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে এক হাজার ১৮২ জন নারী রয়েছেন। গত বছর বিমান পথে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। সড়কপথের দুর্ঘটনায় কবলিত হওয়া বিভিন্ন যানবাহনের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৯২০টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার কারণ হয়েছে নসিমন, করিমন, পিকআপ, অটোরিকশা, ভ্যান ও রিক্সা মিলিয়ে এক হাজার ৯৭৫টি গাড়ি। এরপর সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা আক্রান্ত হয়েছে মোটরসাইকেল, এক হাজার ৪৪৯টি।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৩১ শতাংশ গাড়িচালক ও পরিবহন শ্রমিক। এর মধ্যে ২৪ শতাংশ হলো মোটরসাইকেলে চালক ও আরোহী। মোটরসাইকেলে চালক ও আরোহী মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ২৯২ জন।