ফ্লাডলাইটের আলোয় যথারীতি রান উৎসব
মিরপুর শেরে বাংলায় রাত নেমে আসলেই দেখা যায় রান উৎসব। চলতি বিপিএলে এমনটাই দেখা যাচ্ছে নিয়মিত। আজও এর ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথম ম্যাচে বরিশাল মাত্র ১২৯ রান করলেও সন্ধ্যার পর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স যথারীতি রান তুলেছে ৭ উইকেটে ১৯০।
ব্যাটারদের দারুণ সব শট খেলতে দেখা গেছে। উড়ন্ত সূচনার পর বেনি হওয়েল যথারীতি ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন। তার সঙ্গে যোগ দিয়ে নাঈম ইসলামও দারুণ ব্যাট করেছেন।
সোমবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন কেনার লুইস এবং উইল জ্যাকস। সোহরাওয়ার্দী শুভর করা প্রথম বলেই ওয়াইড এবং বাউন্ডারিসহ আসে ৫ রান। পরের বলেই ছক্কা হাঁকান লুইস। দুই ছক্কা দুই চারে ওভার থেকে আসে ২৩ রান। পরের ওভারের প্রথম বলে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে ছক্কা মারেন জ্যাকস। তৃতীয় বলে জ্যাকসকে (৭ বলে ১৭) ফিরিয়ে ২৯ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন রাব্বি। চতুর্থ ওভারে রাব্বির দ্বিতীয় শিকার হন ১৪ বলে ২টি করে চার ছক্কায় ২৫ রান করা লুইস। এরপর আফিফ আর সাব্বির ভালোই খেলছিলেন। দলীয় ৬৯ রানে সিঙ্গেলস নিতে গিয়ে একপ্রান্তে চলে যান আফিফ ও সাব্বির। রান-আউট হয়ে ফিরতে হয় ১৩ বলে ১৫ রান করা আফিফকে।
ধীরলয়ে খেলতে থাকা সাব্বির রহমানের সঙ্গী হন অধিনায়ক মেহেদি মিরাজ। প্রথম ১০ ওভারে রান আসে ৭৮। দুজনের জুটি বেশ জমে ওঠে। জুটিতে আসে ৩৮ বলে ৪৮ রান। ধীরগতির সাব্বিরের বিপরীতে হাত খুলে মেরেছেন মিরাজ। চট্টগ্রাম অধিনায়ক ২৩ বলে ৩০ রান করে নাভিন উল হকের শিকার হলে ভাঙে জুটি। এরপর সাব্বিরও ৩৩ বলে ৩২ রান করে ফরহাদ রেজার শিকার হন। দুজনেই একাধিকবার ক্যাচ দিয়ে জীবন পেয়েছেন। সাব্বিরের পুরো ইনিংসে একটিই বাউন্ডারি। এরপর বেনি হাওয়েলের ধুমধারাক্কা ব্যাটিংয়ে এগোতে থাকে চট্টগ্রামের স্কোর। শামীম ৬ বলে ৯ করে রান-আউট। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন ৫ বলে ১৫ রান করা নাঈম ইসলাম। আর বেনি হাওয়েল খেলেন ২০ বলে ৪ চার ১ ছক্কায় অপরাজিত ৩৪* রানের ইনিংস।