এক বছরেরও বেশি সময় পর মাঠে ফিরলেন মাশরাফি
২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে জেমকন খুলনার হয়ে সর্বশেষ মাঠে নেমেছিলেন মাশরাফি। ৫ রানে জেতা ম্যাচে ৬ বলে ৫ রান করার পর বোলিংয়ে ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন এ পেসার। এর পর থেকেই মাঠের বাইরে তিনি।
সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে খেলেননি। বিপিএলের ড্রাফটে তাঁকে দলে নেয় মিনিস্টার ঢাকা। তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে মাশরাফি—তিনজনকে অবশ্য একসঙ্গে পাওয়া গেল আজই।
বিপিএল সামনে রেখে ফিটনেস অনুশীলনের সময়ই পিঠে চোট পেয়েছিলেন মাশরাফি। তবে ১৮ জানুয়ারি পুরো রানআপে বোলিংয়ের সময় আবার নতুন করে চোটে পড়েন। এবার চোট পান নিতম্বের মাংসপেশিতে। এ কারণে বিপিএলের শুরুতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েন মাশরাফি। এরপর ঢাকার গত ম্যাচেই ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হলেও মাশরাফি খেলেননি শেষ পর্যন্ত।
২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন মাশরাফি। ২০০৯ সালের পর থেকে টেস্ট খেলেন না তিনি। ২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ওয়ানডে অধিনায়কত্বকে বিদায় বলেছিলেন, এর পর থেকে এ সংস্করণেও দেখা যায়নি তাঁকে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছার কথা বরাবরই জানিয়ে এসেছেন বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ক।
তারকাসমৃদ্ধ ঢাকার বিপিএলের শুরুটা অবশ্য হয়েছিল টানা দুই হার দিয়ে। অবশেষে তৃতীয় ম্যাচে এসে গতকাল ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে তারা।
তবে সিলেটের বিপক্ষে আজকের ম্যাচের শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। আগের দিন রান তাড়ায় ১০ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল তারা। আজ আবার ব্যর্থ হয়েছে টপ অর্ডার, ১৭ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলেছে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান—তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ শেহজাদ ও জহুরুল ইসলামকে।
১৫তম ওভারেই নামতে হয়েছিল মাশরাফিকে। ২ রান করে তাসকিন আহমেদের বলে ফিরেছেন সাবেক অধিনায়ক। ১৮.৪ ওভারে ১০০ রানে অলআউট হয়েছে ঢাকা।