যেসব কারনে প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে ফেলাই মঙ্গল
লাইফস্টাইল ডেস্ক : হঠাৎ করেই ভালোলাগার মানুষটির কোন কিছুই যেন আর ভালো লাগে না। কি কারন তা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না তবে সম্পর্কটা আর আগের মত ভালো নেই। কথায় কথায় ঝগড়া হচ্ছে তার সাথে। কথা নেই, বার্তা নেই রাস্তাঘাটে মানুষজনের সামনেই ঝগড়া করার মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু আগে তো এমন ছিলো না সম্পর্কটা! কত মিষ্টি সম্পর্ক ছিলো আগে। ঝগড়া হওয়া দূরে থাক সারাক্ষণই কথা বলা আর হাসাহাসি করে সময়গুলো কেটে যেত। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে দুজনেই যেন আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে সম্পর্কের প্রতি। একঘেয়ে
হয়ে গিয়েছে সম্পর্কটি।
এমন পরিস্থিতিতে না পারা যাচ্ছে সম্পর্ক রাখতে, আবার না পারা যাচ্ছে সম্পর্ক ভাঙতে! এ ধরনের ঘটনা অনেকেরই সাথে ঘটছে। আসলে প্রেমের সম্পর্কে যখন ভালোবাসার অস্তিত্ব থাকে না তখরই এমন ঘটনা ঘটে।এর ফলে নিয়মিত অশান্তি ও ঝগড়া ঝাঁটি লেগেই থাকে। আর সম্পর্ক যখন এমন পর্যায়ে যায় তখন তা ভেঙে ফেলাই ভালো এবং তা দুজনের জন্যই জরুরী। কারণ এই সম্পর্কটিকে বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়ে নিয়ে গেলে সারাজীবন অশান্তিতে জ্বলতে হবে।
তাই সময় থাকতেই সম্পর্কটিকে ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে জীবন শুরু করা উচিত। কিন্তু সম্পর্ক ভাঙার ক্ষেত্রে অনেকেই দ্বিধাদন্দে ভোগে। সম্পর্ক ভাঙা উচিত হবে কিনা, কখন বোঝা যাবে সম্পর্কটা ভাঙা উচিত ইত্যাদি নানান রকম প্রশ্ন ঘোরে মনের মাঝে। জেনে নিন কোন লক্ষণ গুলো দেখা দিলে ভেঙে ফেলা উচিত প্রেমের সম্পর্কটি:
অতিরিক্ত ঝগড়া ও গালাগালি
ভালোবাসার সম্পর্কে প্রেমিক-প্রেমিকার মাঝে ছোটখাটো ঝগড়া হতেই পারে। কিন্তু তা যদি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়ায় এবং খুব বাজে ভাবে ঝগড়া হয় তাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে না রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে যদি নিয়মিত উচ্চস্বরে ঝগড়াঝাটি, মারামারি কিংবা গালা গালির মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তাহলে বুঝবেন এই সম্পর্কটি ভেঙে ফেলাই উচিত আপনার জন্য। গালাগাল করা কখনো ভালোবাসার প্রকাশ হতে পারে না।
প্রতারণা
প্রেমের সম্পর্কে যে কোনো একজনের প্রতারণা ধরা পড়লে সেই সম্পর্কটি ভেঙে ফেলাই উচিত। প্রেমিক/প্রেমিকা একবার প্রতারণা করলে তাকে আর সুযোগ দেয়াটা রীতিমত বোকামি। কারণ হাজার বার মাফ চাইলেও আপনি তাকে আর বিশ্বাস করতে পারবেন না। ফলে সম্পর্কে সন্দেহ ঢুকে যাবে এবং অশান্তি সৃষ্টি হবে। তাছাড়া যে একবার করতে পারে সে বারবার করতে পারে।
যোগাযোগের অভাব
শুরুর দিকে প্রেমের প্রথম সময় গুলোতে স্বাভাবিক ভাবেই অনেক বেশি যোগাযোগ হয়। কিন্তু ধীরে ধীরে তা কিছুটা কমে যায়। কিন্তু যোগাযোগের পরিমাণ যদি অস্বাভাবিক ভাবে কমে যায় তাহলে সেটা অবশ্যই ভেবে দেখার মত বিষয়। কারণ দুজনের সাথে দুজনের দেখা করা ও কথা বলার ইচ্ছাটা অনুভূতির ব্যাপার। তাই যোগাযোগ একেবারেই কমে গেলে বুঝে নিতে হবে দুজনের প্রতি দুজনের আগ্রহ কমে গিয়েছে। এক্ষেত্রে সম্পর্কটি টিকিয়ে না রাখাই ভালো।
বিয়ের চিন্তায় দ্বিধা
দুটি মানুষ প্রেম করা মানেই এক সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখা। কিন্তু আপনাদের সম্পর্কটা যদি এক সঙ্গে নিশ্চিন্ত ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করার মত না হয় তাহলে সম্পর্কটাকে এগিয়ে নেয়াটা ভুল হবে।
একঘেয়েমী ও বিষন্নতা
প্রেমের সম্পর্কে যদি একঘেয়েমী ও বিষণ্ণতা ভর করে তাহলে সেই সম্পর্ক ভেঙে ফেলুন। কারণ এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখলে নিজের মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
নিজেদের মধ্যে লুকোচুরি
প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে যদি যে কোনো একজন লুকোচুরি করে তাহলে সেই সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। দুজনের কাছে দুজন স্বচ্ছ না থাকলে সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং মনে সন্দেহের জন্ম হয়। ফলে সেই সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখা মুশকিল হয়।