বান্ধবীকে পেটানো ও ধর্ষণের অভিযোগে রোনালদোর সতীর্থকে আটক করেছে পুলিশ
গ্রেটার ম্যানচেস্টারের পুলিশ জানিয়েছে, ‘শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন নারীর পোস্ট করা ছবি ও ভিডিও’ তাঁদের নজরে এসেছে। সেটির ভিত্তিতেই ২০ বছরের কাছাকাছি বয়সের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া লোকটি গ্রিনউডই।
গতকাল স্থানীয় সময় বিকেলে প্রকাশিত বিবৃতিতে পুলিশ আরও জানায়, ‘তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আমরা নিশ্চিত করতে পারি, ২০-এর কাছাকাছি বয়সের একজনকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আপাতত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনি পুলিশ হেফাজতেই থাকবেন।’
এর আগে গতকাল অভিযোগ ওঠার পরই গ্রিনউডের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রথমে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওগুলো তাদের নজরে এসেছে।
আরও নির্দিষ্ট করে না জানা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করবে না বলে জানিয়ে দেয় ক্লাব। তবে ইউনাইটেড যে সব সময়ই এমন ঘৃণিত অপরাধের বিরুদ্ধে, সেটি তখনই জানিয়ে দিয়েছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-পল পগবাদের ক্লাবটি।
এরপর কালই আবার পরে আরেক বিবৃতিতে ইউনাইটেড জানিয়ে দেয়, গ্রিনউডের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাপারে ক্লাবের পক্ষ থেকেও আলাদা তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তদন্ত চলাকালীন সময়ে গ্রিনউডের কী হবে, সেটিও জানিয়ে দেয় ইউনাইটেড, ‘পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ম্যাসন গ্রিনউড অনুশীলনে ফিরতে পারবেন না, ম্যাচও খেলতে পারবেন না।’ এই বিবৃতির কিছুক্ষণ পরই জানা যায়, পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে গ্রিনউডকে।
এদিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমর্থকদের সংগঠনও (এমইউএসটি) টুইটারে জানিয়েছে, তারাও গ্রিনউডের বিরুদ্ধে নেওয়া ক্লাবের সিদ্ধান্তের পক্ষে, ‘ক্লাব একটু আগে নিশ্চিত করেছে, পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত ম্যাসন গ্রিনউড ক্লাবের হয়ে অনুশীলতে যেতে পারবেন না, খেলতেও পারবেন না। এমইউএসটি এ ব্যাপারে ক্লাবের এই সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি সমর্থন জানাচ্ছে।’