টিকা বিক্রি করে ফাইজারের মুনাফা দ্বিগুণ
জার্মানির জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের সঙ্গে যৌথভাবে করোনার টিকা উদ্ভাবন করেছে ফাইজার। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রথম অনুমোদন পাওয়া টিকা ছিল এটি। সদ্য সমাপ্ত ২০২১ সালের তুলনায় এ বছর তাদের আয় কম হবে। তবে কোভিডের বড়ি পাক্সোলোভিড বিক্রি করে আয় বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধান নির্বাহী আলবার্ট বোরলা ২০২১ সালকে ফাইজারের ‘যুগান্তকারী বছর’ অভিহিত করে বলেন, ‘মহামারি আমাদের কোম্পানিকে চিরতরে বদলে দিয়েছে।’
গত বছর ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার মুনাফা করে ফাইজার, যা ২০২০ সালের তুলনায় দ্বিগুণ। প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে বার্ষিক আয় ছিল ৮ হাজার ১৩০ কোটি ডলার। শুধু করোনা টিকা বিক্রি করেছে ৩ হাজার ৬৮০ কোটি ডলারের। এ বছর ৯ হাজার ৮০০ থেকে ১০ হাজার ২০০ কোটি ডলার আয়ের পূর্বাভাস দিচ্ছে কোম্পানিটি।
ফাইজারের আয় ও মুনাফার সবশেষ এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, করোনাভাইরাস কীভাবে কোম্পানিটিকে আমূল বদলে দিয়েছে। এক বছর আগে ফাইজার পূর্বাভাস দিয়েছিল, ২০২১ সালে ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের টিকা বিক্রি করবে তারা। কিন্তু বছর শেষে দেখা গেছে, পূর্বাভাসের চেয়ে দ্বিগুণ টিকা বিক্রি করেছে তারা।
২০২২ সালে কোভিড টিকা বিক্রি করে ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার এবং প্যাক্সোলোভিড বিক্রি থেকে ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার আয়ের আশা করছে ফাইজার।