কেরানীগঞ্জের বাঁশ ব্যবসায়ী হত্যায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড
মামলার নথিপত্র বলছে, সাত বছর আগে ২০১৫ সালের ৪ এপ্রিল রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জের আগানগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভবনের পেছন থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে খুনের মামলা করে। পরে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে ওই ব্যক্তির নাম ওয়াসিম। এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে পলক রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পলক রহমান আদালতে বলেন, নিহত বাঁশ ব্যবসায়ী ওয়াসিমের সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলমের দ্বন্দ্ব চলছিল। ওয়াসিমকে হত্যা করার জন্য জাহাঙ্গীর বাতেনের সঙ্গে চুক্তি করেন। পরে আসামি বাতেন ওয়াসিমকে খুন করার জন্য পলকসহ অন্যদের নির্দেশ দেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ওয়াসিমকে আগানগরের বাঁশপট্টি এলাকার কারখানায় হত্যা করা হয়।
গোলাম দস্তগীর প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় ক্লাব থেকে জাহাঙ্গীরকে বের করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওয়াসিমের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। পরে জাহাঙ্গীর পরিকল্পনা করে ভাড়াটে খুনি বাতেন, পলক ও পাপ্পুকে দিয়ে ওয়াসিমকে খুন করান। মাত্র ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওয়াসিমকে নৃশংসভাবে খুন করে লাশ ফেলে যায়। জাহাঙ্গীর বাদে সব খুনি ছিল ওয়াসিমের বন্ধু।
এপিপি গোলাম দস্তগীর আরও বলেন, এ মামলায় গত বছরের ২৪ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আর চার আসামির বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৭ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এ মামলায় ১৭ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।