আইপিএলে যে তিন দল নিতে পারে সাকিবকে
কলকাতার হয়ে ২০১১ সালে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে আইপিএলে অভিষেক সাকিবের। ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ৭১ ম্যাচে ৭৯৩ রান ও ৬৩ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। কলকাতা ছাড়াও ২০১৮ ও ২০১৯ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেন তিনি।
এবার নিলামে সাকিবের ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপি। সবচেয়ে দামি ক্রিকেটারের শ্রেণিতে আছেন বাংলাদেশের সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান। নিলামে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোর যে সাকিবের ওপর চোখ থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। তবে যে তিন দল নিলামে সাকিবের প্রতি সবচেয়ে বেশি আগ্রহী হতে পারে, সেটি চলুন দেখে নেওয়া যাক—
কলকাতা নাইট রাইডার্স:
অনেকেই বলে থাকেন, আইপিএলে সাকিবের ‘ঘর’ কলকাতা নাইট রাইডার্স। কলকাতার মানুষ যেমন সাকিবকে পছন্দ করেন, তেমনি ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সঙ্গেও নিবিড় সম্পর্ক আছে বাংলাদেশ তারকার।
দুবার এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে আইপিএলে শিরোপার (২০১২ ও ২০১৪) দেখা পেয়েছেন সাকিব। সম্প্রতি বিপিএল দিয়ে ফর্মে ফেরায় তাঁকে দলে ফেরাতে পারে কলকাতা। বিপিএলে টানা চার ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন সাকিব।
টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটে-বলে সমান দক্ষ খেলোয়াড়ের কদর বেশি। সাকিব নিজের দিনে ব্যাটিং কিংবা বোলিংয়ে একা ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য রাখেন। তা ছাড়া কলকাতার হয়ে সাকিবের পারফরম্যান্সও বেশ ভালো। এবার কলকাতা তাঁকে নিলে অভিজ্ঞতা বিচারে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির নেতৃস্থানীয় খেলোয়াড়দের কাতারে তুলে আনা হতে পারে।
বাংলাদেশ দলে সাকিব টপ অর্ডারে ব্যাট করে থাকলেও ছয়ে ও সাতে নেমেও এর আগে জিতিয়েছেন কলকাতাকে। যেহেতু যেকোনো পজিশনে ব্যাট করতে পারেন, কলকাতা বিষয়টি মাথায় রেখে সাকিবকে ফেরাতে পারে। এর পাশাপাশি তাঁর স্পিন বোলিংয়ের বিষ যে কেউই ব্যবহার করতে চাইবে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু:
কলকাতা যেমন সাকিবের আরেক ‘ঘর’, তেমনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অবস্থানও এবি ডি ভিলিয়ার্সের হৃদয়ের খুব কাছাকাছি। গত নভেম্বরে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার আগপর্যন্ত বেঙ্গালুরুতে আলো ছড়িয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স।
মিডল অর্ডারে ডি ভিলিয়ার্সের শূন্যতা এবার পূরণ করতে চাইবে বেঙ্গালুরু। এত দিন তো তাঁর ওপরই সওয়ার ছিল দলটির মিডল অর্ডার। এখন শূন্যতা পূরণে বেঙ্গালুরু এমন খেলোয়াড় চাইবে, যিনি একই সঙ্গে অভিজ্ঞ এবং চাপ নিতে পারেন। খেলাতে পারেন ব্যাটিংয়ে নামা অন্য প্রান্তের সতীর্থদের। বেঙ্গালুরুর এই সমস্যার সমাধান হতে পারেন সাকিব। টপ অর্ডার ব্যর্থ হলে বেঙ্গালুরুর মিডল অর্ডার একাই টেনে নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন তিনি।
বিরাট কোহলি ও এবি ডি ভিলিয়ার্স এত দিন বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং সামলেছেন। বাকিরা এখনো ধারাবাহিক হয়ে উঠতে পারেননি। ডি ভিলিয়ার্স চলে যাওয়ায় তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই সাকিবের মতো অভিজ্ঞ কাউকে খুঁজবে বেঙ্গালুরু। তাঁকে নিলে মাঠে নেমে অন্তত ৬ নম্বর বোলারের অভাব বোধ করতে হবে না বেঙ্গালুরুকে। এর পাশাপাশি ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিংয়ের দক্ষতা তো আছেই।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ:
২০১৮ সালে সাকিবকে কিনেছিল সানরাইজার্স। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হয়ে একবার ফাইনালও খেলেন। এমনিতেই মিডল অর্ডার নিয়ে যথেষ্ট দুশ্চিন্তা আছে সানরাইজার্সের। নিলামে তাই সবার আগে দলের মিডল অর্ডার ঠিক করার কথা ভাববে দলটি।
এবার কেইন উইলিয়ামসনের পাশাপাশি আবদুল সামাদ ও উমরান মালিককে ধরে রেখে বেশ চমকেও গেছে সানরাইজার্স। উইলিয়ামসন ওপেনিং কিংবা তিনে খেলতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ব্যাটিং অর্ডারে নিচের দিকে অভিজ্ঞ ও ভালো ব্যাটসম্যান প্রয়োজন সানরাইজার্সের। সাকিবকে নিয়ে সমস্যাটা কাটিয়ে উঠতে পারে দলটি।