সমুদ্রপথ বন্ধ করে রেখেছে রাশিয়া: ইউক্রেন
ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে উত্তেজনা চলার মধ্যেই সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের সঙ্গে বড় ধরনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। বেলারুশ রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র। ইউক্রেনের সঙ্গেও দেশটির দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এ সামরিক মহড়াকে ‘সহিংস ইঙ্গিত’ বলে উল্লেখ করেছে ফ্রান্স। আর ইউক্রেন বলেছে, এ মহড়া ‘মনস্তাত্ত্বিক চাপ’-এর সমতুল্য। বেলারুশের সঙ্গে ১০ দিনের ওই সামরিক মহড়ার সংযোজন হিসেবে ইউক্রেনের দক্ষিণে অবস্থিত কৃষ্ণসাগর ও আজভ সাগরে আগামী সপ্তাহে নৌ মহড়া চালাবে রাশিয়া। এ মহড়ার অংশ হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য ভারী অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হবে উল্লেখ করে উপকূলীয় এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে দেশটি।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা অভিযোগ করেছেন আজভ সাগর পুরোপুরি অবরুদ্ধ রাখা হয়েছে। কৃষ্ণসাগরও প্রায় পুরোপুরিভাবে ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নজিরবিহীনভাবে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে এ নৌ মহড়া চালানো হবে। আর তখন ওই দুই সাগরে নৌ চলাচল কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এক টুইটার পোস্টে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ অভিযোগ করেন, দুই সাগরেরই আন্তর্জাতিক পানিসীমা অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাশিয়া।
ইউক্রেনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এ সামরিক মহড়ার নিন্দা জানিয়েছে। দূতাবাসের টুইটার অ্যাকাউন্টে করা এক পোস্টে বলা হয়, সমুদ্রপথে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের ওপর প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে রাশিয়া। কৃষ্ণসাগর ও আজভ সাগরে নৌ চলাচলের স্বাধীনতায় সীমাবদ্ধতা তৈরি করছে। এতে ইউক্রেনের অর্থনীতির জন্য জরুরি বলে বিবেচিত নৌ চলাচলগুলো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়াকে একীভূত করে নেওয়ার পর থেকে কৃষ্ণসাগর ও আজভ সাগর অঞ্চলে দেশটির সঙ্গে ইউক্রেনের চরম উত্তেজনা চলছে। ২০১৮ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের তিনটি জাহাজ জব্দ করেছিল।
সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে ট্যাংক ও বিপুলসংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের আশঙ্কা যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। তবে এ ধরনের হামলার পরিকল্পনা নেই বলে দাবি করে আসছে মস্কো।
বেলারুশের সঙ্গে রাশিয়ার যে সামরিক মহড়া চলছে তার নাম অ্যালাইড রিজলভ ২০২২। ইউক্রেন–সংলগ্ন বেলারুশ সীমান্তে এ মহড়া হচ্ছে। প্রায় ৩০ হাজার রুশ সেনা এ মহড়ায় অংশ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।