নিউইয়র্কে কেমন কাটছে শাকিব খানের দিনকাল
ঢাকায় থাকলে নিজের বাসায় জিম, যখন খুশি জিম করতেন। নিউইয়র্কে সেটা সম্ভব নয়। শাকিব জানালেন, নিউইয়র্কের বাসা থেকে গাড়ি চালিয়ে জিমে যেতে লাগে ১৫ মিনিট।
যুক্তরাষ্ট্রে শুটিং শুরু করবেন কবে? জানা গেল, গত এক মাস সেই সিনেমার প্রি-প্রোডাকশনের কাজে ব্যস্ত শাকিব। প্রতি সপ্তাহে পরিচালক হিমেল আশরাফকে নিয়ে বসছেন। করছেন স্ক্রিপ্টিং আর সংলাপের কাজ। নায়িকা ছাড়া অন্য সব কাস্টিং প্রায় চূড়ান্ত। শাকিব জানালেন, সব নিয়ম মেনে ঠিকঠাক সিনেমার শুটিং করতে চান। সে কারণেই সময় নিচ্ছেন। শুরুতে ফেব্রুয়ারি মাসেই শুটিং শুরু করতে চেয়েছিলেন পরিচালক। কিন্তু বাংলাদেশ আর আমেরিকায় শুটিং পদ্ধতি এক রকম নয়। শাকিব বলেন, ‘যেভাবে স্বপ্ন দেখেছি, সেভাবেই সেটা বাস্তবায়ন করতে চাই। সুন্দর একটা ছবি বানাব, যা দেখে দেশ-বিদেশের সবাই বলবে, আরে বাহ…।’
আশাবাদী শাকিব বলেন, ‘দেশের বাইরে আমাদের চলচ্চিত্রের একটা বিশাল বাজার আছে। যুক্তরাষ্ট্রে এসে বিষয়টা আরও ভালোভাবে টের পেয়েছি। এখানকার ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশের সিনেমা নিয়ে ভাবছেন। আমার সঙ্গে অনেকের মিটিং হয়েছে। কানাডা থেকেও ব্যবসায়ীদের একটা প্রতিনিধিদল এসেছিল। একাধিকবার মিটিং হয়েছে। আমাকে তাই ভাবতে হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষ যেন আমাদের সিনেমা নিয়ে গর্ব করতে পারে, সেভাবেই আমার সিনেমার শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের তুষারপাত বেশ উপভোগ করেছেন শাকিব। শাকিব বলেন, ‘উইন্টারের বিউটি একেক দেশে একেক রকম। যখন টানা তুষারপাত হয়, তখন বাসা থেকে খুব একটা বের হই না। জানালা দিয়ে তুষারপাতের সৌন্দর্য উপভোগ করি। বাসায় বসে নেটফ্লিক্স, আমাজন প্রাইমে মুভি দেখি।’ আর সেখানকার প্রেক্ষাগৃহে? শাকিব খান বলেন, ‘কখনো ৮৪ স্ট্রিটে এএমসি থিয়েটারে সিনেমা দেখা হয়। কখনো রিগ্যাল ব্যাটারি পার্কে। এখানে স্ট্রেন্ড নামে একটা নামকরা বইয়ের দোকান আছে। সেখান থেকে বই কিনেছি বেশ কয়েকটা। পড়ছি, কাজের চাপে ঢাকায় তো সময়ই পেতাম না। এখানে সময়টা শেখার পেছনেও ব্যয় করছি। সেদিন পড়ছিলাম অ্যান্দ্রেই তারকোভোস্কির স্কালপ্টিং ইন টাইম।’
বাংলাদেশকে ভীষণ মিস করছেন শাকিব। জানালেন, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে তাঁর দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে নতুন ছবির বেশ খানিকটা শুটিং সেরে নেবেন।
এরই মধ্যে সবাই জেনে গেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন শাকিব খান। কত দূর এগিয়েছে সেই প্রক্রিয়া? তিনি বলেন, ‘করোনার আগে প্রসেসিং শুরু হয়। ২০২০ সালের পর কাজটা আর এগোয়নি। এবার যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর আমার আইনজীবী বললেন, আবার কাজ শুরু করা দরকার।’ গ্রিন কার্ড পেলেও স্থায়ীভাবে সেখানে থাকা হবে না শাকিবের। তিনি বলেন, ‘আমি যে ক্যাটাগরিতে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি, এমনটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আরও অনেক তারকা করেছেন। তাঁরাও কিন্তু দুই দেশে কাজ করছেন। সত্যি বলতে বাংলা সিনেমাকে এগিয়ে নেওয়ারও একটা পরিকল্পনা আছে আমার।’