পশ্চিমবঙ্গে পুরসভা নির্বাচন, দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫০ শতাংশ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পুরসভা নির্বাচন চলছে। আজ রবিবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে ২০ জেলার ১০৮ পুরসভায় ভোটগ্রহণ অব্যাহত আছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কড়া নিরাপত্তার চাদরে মোড়া থাকবে প্রত্যেক ভোটকেন্দ্র। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বুথের সংখ্যা অনুযায়ী ধাপে ধাপে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তার স্তর।
দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪৯.৯১ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। সেখানে ৫৯.১৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। অন্যদিকে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে দার্জিলিংয়ে। সেখানে ৩৬.২২ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ধুলিয়ান পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে সেখানে বন্ধ হয়ে গেছে ভোটগ্রহণ। সকাল থেকে ঠিক মতো ভোটগ্রহণ হলেও বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ গোলমাল শুরু হয়। বুথ দখল করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সেখানে। ঘটনাস্থলে রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
ভাটপাড়ায় ইভিএম ভাঙচুরের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আটক হয়েছেন অর্জুন সিংহের আত্মীয় সঞ্জয় সিংহ।
ভোট কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে বনগাঁর যশোর রোডে রাস্তা অবরোধ করেছেন বিজেপি প্রার্থীরা। বনগাঁ ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করেছেন বিজেপি প্রার্থীরা।
ডালখোলা পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দেশবন্ধু পাড়ার একটি বুথে ভুয়া ভোটার আটক হয়েছেন। ভোটার তালিকায় এখনো নাম নথিভুক্ত হয়নি, তার পরেও ভোট দিতে গেছেন অভিযুক্ত।
শান্তিপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিপিএম প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল প্রার্থী স্নিগ্ধা মুখার্জি বলেছেন, দীর্ঘ সময় ধরে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল সিপিআইএম প্রার্থী এবং তাঁর দলবদলের পক্ষ থেকে। পরে হঠাৎ করেই আক্রমণ চালায় সিপিআইএম প্রার্থী মৌমিতা দাস। কার্যত মাটিতে ফেলে জুতা দিয়ে মারধর করা হয় তৃণমূল প্রার্থীকে। যদিও তৃণমূল প্রার্থীর তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে মৌমিতা মাহাতো দাস।