বিএনপি নির্বাচন কমিশন চায় না, নির্বাচনও চায় না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচন কমিশন চায় না, নির্বাচনও চায় না। তারা জানে যে, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। আগামী নির্বাচনে তাদের একদম ভরাডুবি হবে। ’
আজ রবিবার সকালে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। তাঁর জেলে থাকার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় এবং সরকারের বদান্যতায় ও উদারতায় জেলের বাইরে রয়েছেন। কিন্তু তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। বিএনপির আরেক নেতা তারেক রহমান বিদেশে থেকে রিমোট কন্ট্রোলে দল পরিচালনা করে। সে-ও দুর্নীতিপরায়ণ, আইন অনুযায়ী তাঁরও নির্বাচনে দাঁড়ানো খুব সহজ নয়। কাজেই, তারা কোনোক্রমেই নির্বাচন চায় না। তারা চায় সরকারের পতন। কিন্তু এ সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার। আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত জনগণের রায় ব্যতীত এ সরকারের পতন হবে না। ’
ড. রাজ্জাক আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের ভাবমূর্তি খুবই উজ্জ্বল। অতীতে তাঁরা নিজ নিজ পেশায় অত্যন্ত সফলতা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি যতদূর জানি, তাদের তেমন কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এ কমিশন গঠনের পর থেকে সব মহলে বিতর্ক কমে গেছে, শান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের প্রত্যাশা সবার মাঝে তৈরি হয়েছে এবং সবাই মনে করছে এই নতুন কমিশনের মাধ্যমে একটা ভালো নির্বাচন হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য কোনো আইন ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার সুষ্ঠু সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়ন করেছেন। এ আইনানুযায়ী রাষ্ট্রপতি গতকাল নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। কাজেই, বিএনপি এ কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করুক বা না করুক- তাতে কিছু যায় আসে না। তারা যতোই আন্দোলনের হুমকি দিক, আগামী নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের সকল আন্দোলন মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।
পরে কৃষিমন্ত্রী বাসাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।