ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাচ্ছে তিন দেশ, পাল্টা হুমকি রাশিয়ার
সুইডেনের পরে নরওয়ে এবং ফিনল্যান্ডও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউক্রেনে বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধাস্ত্র পাঠানোর ব্যাপারে। সোমবার দেশগুলোর পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
দিনের প্রথমভাগে সুইডিশ পার্লামেন্টে সরকারের প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবটি উত্থাপন করলে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে তা পাস হয়। এরপর দিনের অপরাহ্নে পর্যায়ক্রমে নরওয়ে এবং ফিনল্যান্ডের পার্লামেন্টেও একই প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে পাস হয়।
বিজ্ঞাপন
তবে, ইউক্রেনের বাইরের কোনো দেশ থেকে অস্ত্র আসলে এবং সে অস্ত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার হলে, সে দেশগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া।
সোমবার সুইডেনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সুইডেনের অস্ত্র তালিকায় রয়েছে- ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে সরাসরি সহায়তার জন্য ৫০০ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (এক ক্রোনার সমান প্রায় ১০ টাকা), ৫০০০টি সাঁজোয়া বর্মগোলা (আর্মার গোলা ৮৬ টাইপ), ৫০০০ হেলমেট, ৫০০০ বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, এক লাখ ৩৫ হাজার ফিল্ড রেশন বা যুদ্ধরত ইউক্রেনীয় সৈন্যদের জন্য খাদ্য প্যাকেজ এবং ৫০০ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার মানবিক সাহায্যের জন্য।
নরওয়েজিয়ান প্রগ্রেস পার্টির নেতা সিলভি লিসথাউগ বলেছেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে- আমাদের অনেক মিত্রই ইউক্রেনকে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েছে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে ইউক্রেনের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে; যারা রাশিয়ার মতো একটা যুদ্ধযন্ত্রের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সাথে লড়াই করছে। তবে, কোন ধরনের এবং কী পরিমাণ অস্ত্র নরওয়ে ইউক্রেনে পাঠাবে, তা এখনো জানা যায়নি।
প্রাথমিকভাবে ফিনল্যান্ড ২৫০০ অ্যাসাল্ট রাইফেল, ১ লাখ ৫০ হাজার কার্তুজ, ১৫০০ সাঁজোয়া বর্মগোলা এবং ৭০ হাজার খাবারের প্যাকেট ইউক্রেনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পার্লামেন্টে নেয়া এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক এবং সর্বসম্মতিক্রমে নেওয়া হয়েছে বলে জানান ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন।
প্রসঙ্গত, সুইডেনের এবং ফিনল্যান্ডের ন্যাটো সামরিক জোটের সঙ্গে অংশীদারিত্ব রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত দেশ দু’টি পূর্ণ ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার অভিপ্রায় থেকে দূরে থেকেছে। প্রতিবেশী রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধটি দেশ দুটির জনমতকে তীব্রভাবে ন্যাটোর পক্ষে ঘুরিয়ে দিয়েছে এবং ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের যৌক্তিকতাকে তীব্র করেছে।