আদালতের রায়ের কপি দেখিয়ে শপথ নিলেন জায়েদ
উচ্চ আদালতের রায়ের পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে আর বাধা রইলো না জায়েদ খানের। ২৮ জানুয়ারির শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ৩৫ দিন পর অনেক ঝড়-ঝাপ্টা পেরিয়ে অবশেষে শপথ নিলেন জায়েদ খান। তার সঙ্গে আরো শপথ নেন তাঁর প্যানেলের বিজয়ী ডিপজল, সুচরিতা, অরুনা বিশ্বাস ও জয় চৌধুরী। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এফডিসিতে তাদের শপথ পাঠ করান শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।
বিজ্ঞাপন
শপথ পাঠ করানোর আগে ইলিয়াস কাঞ্চন গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাব। গঠনতন্ত্রের বাইরে আমাদের যাওয়ার সুযোগ নেই। সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে জটিলতা ছিল। জায়েদ খান আমাকে আদালতের রায়ের সার্টিফায়েড কপি দেখিয়েছে, তাই তাকে আমি শপথ পাঠ করাচ্ছি। আদালতের রায় তো আর অমান্য করতে পারি না। ’
শপথ নেওয়া শিল্পী সমিতির নতুন কমিটির ৫ সদস্যকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। পাশে আছেন আগে শপথ নেওয়া অঞ্জনাও।
সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কারণে এর আগে শপথ নিয়েছিলেন ১১ জন সদস্য। তবে তাতে অংশ নেননি ২৮ জানুয়ারির নির্বাচনে মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেলের জয়ী কেউই। সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে সুরাহা না হওয়া এবং জায়েদ খান তার চেয়ার ফিরে না পাওয়ায় কেউই আপাতত শপথ নিতে চান না। তবে পরবর্তী সময়ে ব্যতিক্রম হিসেবে তাদের প্যানেল থেকে শপথ নেন অঞ্জনা। আর এবার শপথ নিলেন জায়েদ খানসহ মোট পাঁচজন।
এর আগে জায়েদ খান বারবার বলেছিলেন, শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রে শপথ নেওয়ার কোনো বিধান নেই। এবার নিজেই শপথ নিলেন। জায়েদ জানান, ‘মূলত শিল্পী সমিতির প্রথম মিটিং ডেকেছেন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। সেই সুবাদে আমরা শপথগ্রহণ করে নিয়েছি। ’
তবে মিশা-জায়েদ প্যানেলের জয়ী সদস্য মৌসুমী, রুবেল, আলীরাজ, রোজিনা ও চুন্নু এখনো শপথ নেননি।