‘বিজয়’ নাম হলেই বাজিমাত অমিতাভের
শাহরুখ খানের যেমন ‘রাহুল’ বা ‘রাজ’, অমিতাভ বচ্চনের তেমনি ‘বিজয়’। পর্দায় ‘বিজয়’ নামের চরিত্রে বিশবারেরও বেশিবার দেখা গেছে অভিনেতাকে। যার বেশির ভাগই সুপারহিট। ৪ মার্চ মুক্তি পাওয়া ‘ঝুন্ড’ ছবিতেও বিজয় বার্সে চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন।
অমিতাভের সেরা পাঁচ ‘বিজয়’ নিয়ে এই লেখা
জাঞ্জির [১৯৭৩]
‘বিগ বি’র ‘বিজয়’যাত্রা শুরু হয় ‘জাঞ্জির’ দিয়ে। প্রকাশ মেহার ছবিতে ইন্সপেক্টর বিজয় খান্না চরিত্রটি হয়ে ওঠে সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক। সুপারহিট এই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন সুপারহিট সেলিম-জাভেদ জুটি। ছবিতে আরো ছিলেন জয়া বচ্চন ও প্রাণ।
দিওয়ার [১৯৭৫] : এই ছবির বিজয়ও কম বিখ্যাত নয়। এই ছবিতে প্রতিবাদী যুবক বিজয় ভার্মার চরিত্রে দেখা যায় অমিতাভকে। এই ছবির পরই ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ ধারণাটি জনপ্রিয় হয়। সেলিম-জাভেদ জুটির লেখা এই ছবির পরিচালক যশ চোপড়া।
ডন [১৯৭৮] : তিন বছর পর বিজয়ের আরেক রূপে হাজির হন অমিতাভ। ছবিতে ডন ও বিজয় পাল দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এই ছবির চিত্রনাট্যও লেখা সেলিম-জাভেদ জুটির, পরিচালক চন্দ্র বারত। পরে অতিতাভের করা চরিত্রটি ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়, হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম সেরা বলেও বিবেচিত হয়।
শাহেনশাহ [১৯৮৮] : ‘ডন’-এর পর ‘শক্তি’, ‘শান’, ‘ত্রিশূল’ ইত্যাদি হিট ছবিতে বিজয় নামের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে অমিতাভকে। তবে ‘আইকনিক’ বলতে যা বোঝায় সেটা ফের পাওয়ায় ‘শাহেনশাহ’য়। এই ছবিতেও দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। একটা দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসার বিজয় শ্রীবাস্তবের, অন্যটি শাহেনশাহর। টিনু আনন্দ পরিচালিত ১৯৮০-এর দশকের অন্যতম এই হিট ছবির গল্প লিখেছিলেন জয়া বচ্চন।
অগ্নিপথ [১৯৯০] : ‘ঝুন্ড’-এর আগে সবশেষ ‘অগ্নিপথ’-এ বিজয় নামের চরিত্রে গুরুত্বপূর্ণ পারফরম্যন্স ছিল অমিতাভের। মুকুল এস আনন্দ পরিচালিত ছবিতে বিজয় চাবন চরিত্রে অভিনয় করে ফিল্মফেয়ারে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান অমিতাভ।