বিএনপি চায় দেশের মানুষ দরিদ্র থাকুক : তথ্যমন্ত্রী
নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে এবং এজন্য চলচ্চিত্রের ভূমিকাকে অনবদ্য বলে উল্লেখ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব- দশম লিবারেশন ডকফেস্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বিশেষ অতিথি এবং উৎসব পরিচালক তারেক আহমেদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ উৎসবের বিষয় হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও মানবাধিকার।
বিজ্ঞাপন
আমাদের মতো এত প্রাণের বিনিময়ে, এত রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সব দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন যুগে যুগে পৃথিবীর ইতিহাসে, মানব সভ্যতার ইতিহাসে মুক্তিকামী মানুষের জন্য একটি উদাহরণ। এক্ষেত্রে চলচ্চিত্রের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার যেভাবে ইউক্রেন থেকে নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে এনেছে তা অভাবনীয়। এজন্য ফিরে আসা নাবিকরা ও তাদের পরিবারবর্গ সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। একই সাথে নিহত নাবিক হাদিসুর রহমানের মরদেহ ফিরিয়ে আনার সব ব্যবস্থাও নিয়েছে সরকার। আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করি ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে না পারার অভিযোগ উঠেছে। অনেক দেশের নাগরিকদের ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হেঁটে যেতে হয়েছে উল্লেখ করেন তিনি।
পরিচিত নাম লুকিয়ে মার্কিন পাসপোর্ট দিয়ে ভিসার আবেদন করায় সানি লিওনের ভিসা বাতিল হয়েছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় যে অভিনয়শিল্পী দলকে ভিসা দেওয়া হয় তাদের একজন ছিলেন সানি লিওন। কিন্তু তার সানি লিওন নামটি গোপন করে মার্কিন নাগরিক পরিচয়ে আবেদন করা হয়েছিল। এভাবে পরিচয় গোপন করে অনুমতি নেওয়া আইনবহির্ভূত। এটি যখন মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে তখন তার বাংলাদেশে আসার অনুমতি বাতিল করা হয়।
সাংবাদিকরা এ সময় বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ভুয়া’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের জিডিপি যে ভারতকে ছাড়িয়েছে তা আইএমএফ (আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল) স্বীকৃত। মির্জা ফখরুল সাহেবরা চান না দেশের অগ্রগতি হোক। তারা চান দেশের মানুষ দরিদ্র থাকুক। দেশের অগ্রগতিতে তাদের গাত্রদাহ হয়।