বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Monday, December 23, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » মানদণ্ড ঠিক থাকলে এমপিওভুক্তি: শিক্ষামন্ত্রী

মানদণ্ড ঠিক থাকলে এমপিওভুক্তি: শিক্ষামন্ত্রী 

014404Dipu-moni_kalerkantho_pic

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগে জাতীয়কৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান বাড়লে দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে সবটুকু সক্ষমতা নিয়োগ করবে সরকার। মানদণ্ড ঠিক থাকলে এমপিওভুক্তও করা হবে।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর বাংলা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ মাঠে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্বাশিপ সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাশিপের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু।

স্বাশিপের আট দফা দাবির প্রেক্ষিতে জাতীয়করণ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই শিক্ষার মান অর্জন করতে। আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা কী বলে? যে সকল প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হয়েছে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান কি আরো বেড়েছে, নাকি কমেছে? এটা আগে বুঝতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হয়েছে সেখানে শিক্ষার মান যদি বাড়ে তাহলে সবগুলোই জাতীয়করণ করা হবে। যদি মান না বাড়ে তাহলে জাতীয়করণ অবশ্যই চাইবো না। ‘

এমপিওভুক্তির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এমপিওভুক্ততে প্রথম কথা সরকারি সক্ষমতা। কিন্তু, যদি যোগ্য শিক্ষক না হন, তাহলে এমিপওভুক্তি কি সঠিক হবে? শিক্ষক মানসম্পন্ন কিনা, প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত, পাশের হার কত? শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত? একটি মানদণ্ড থাকতে হবে। নিজেদের মানদণ্ডে রাখার চেষ্টা করেন। চেষ্টা করলে সম্ভব। তাহলে আমরা অবশ্যই এমপিওভুক্ত করব। ‘

বৈশাখী ভাতার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই আপনাদের এই ভাতাগুলো আরো বাড়ুক। আমরা নিশ্চয় চাই। আমি কথা দিতে পারি। আমরা দুজনে (মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী) নিশ্চয়তা দিতে পারি আমরা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা নিয়ে বলেছেন (দাবি করেছেন)। আর্থিক সক্ষমতার একটি ব্যাপার রয়েছে। মনে রাখতে হবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা খুবই কম। বেশিরভাগই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। কাজেই এখানে সরকারের বাজেট কতখানি লাগবে, কতখানি বাড়াতে হবে, সরকারের সক্ষমতার সঙ্গে সেটি সাযুজ্যপূর্ণ কিনা এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে। স্কুল মাদরাসা ও কারিগরিতে প্রধান শিক্ষকের স্কেল ভিন্ন হয়ে গেছে, সেটি দেখা হবে। ‘

শিক্ষকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নিজেদের দক্ষ করে তোলেন। আশা করব সবাই প্রশিক্ষণে উদ্যোগী হবেন। যেখানে সুযোগ পাবেন সব প্রশিক্ষণ নিয়ে নেবেন। এখন তো অনলাইন অফলাইন দুইভাবে প্রশিক্ষণ হচ্ছে। অনলাইনে নিজেদের দক্ষ করে তুলবেন। ‘

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি চেয়েছিলেন, দক্ষ, প্রায়োগিক ও বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা। আমরা মনে করি শিক্ষা অর্জন করলে গাড়িঘোড়া চড়বে। গাড়িঘোড়ায় চড়াটা সফলতা নয়। গাড়িঘোড়া বানানো সফলতা। বঙ্গবন্ধু পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করতে চেয়েছিলেন। চলমান মেগা প্রকল্পগুলো শেষ হলে ধীরে ধীরে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হবে। তবে শিক্ষা জাতীয়করণ করা হলো কিন্তু যে উদ্দেশে জাতীয়করণ সেই সফলতা আসলো না তাহলে হবে না। সে জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষা জাতীয়করণের ক্ষেত্রে আর্থিক বিষয়ে নিশ্চয়তা সরকার দেবে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকরা করবে।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone