বিয়ের আগে যে ৫টি কথা প্রতিটি মায়ের উচিত পুত্রকে জানানো
লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিয়ের পর থেকে স্বামীর সাথে নানান সমস্যা। এটা ওটা নিয়ে ঝগড়া ঝাটি তো লেগেই থাকে সবসময়। ওর মা কি ওকে কিছুই বলেনি স্ত্রীকে কীভাবে সম্মান করতে হয়?
এমন প্রশ্ন অনেক স্ত্রীর মনেই জাগতে পারে। আমাদের সমাজে পারিবারিক সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর পারিবারিক সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনের অন্যতম একটি কারণ হলো শাশুড়ি ও পুত্রবধুর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি। এছাড়াও স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর বেশ কিছু আচরণও দাম্পত্য সম্পর্ককে বিষিয়ে তুলছে এবং আমাদের সমাজের নারীরা মুখ বুঝে নিরবে সহ্য করছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।
যেহেতু ছেলের মা একজন নারী, তাই পুত্রবধুর সুবিধা অসুবিধার বিষয় গুলো ছেলের চাইতে তিনিই ভালো বুঝবেন, এটাই স্বাভাবিক। আর তাই বিয়ের আগেই কিছু বিষয় ছেলেকে আগে থেকেই বুঝিয়ে দিলে পারিবারিক সমস্যা এড়ানো যায় সহজেই। আসুন জেনে নেয়া যাক ৫টি কথা যেগুলো সব মায়েরই উচিত বিয়ের আগে ছেলেকে বুঝিয়ে বলা।
১. স্ত্রীকে মায়ের সাথে তুলনা করা উচিত না
অধিকাংশ পুরুষই বিয়ের পর স্ত্রীর সাথে মায়ের তুলনা করে। ‘তোমার চাইতে আমার মায়ের রান্না ভালো’ কিংবা ‘তোমার যায়গায় মা হলে এটা করতেন না’ এই ধরনের নানান রকম কথা স্বামীরা স্ত্রীদেরকে বলে থাকেন। এতে স্ত্রীরা নতুন সংসারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং হতাশায় ভোগে। এই ধরনের কথাবার্তার কারণে শাশুড়ির প্রতি শ্রদ্ধাবোধও হারিয়ে ফেলে অনেক বউ। তাই সব মায়েরই উচিত ছেলেকে বিয়ের আগে বুঝিয়ে বলা যে স্ত্রীকে তাঁরা যেন মায়ের সাথে তুলনা না করে।
২. অতিরিক্ত প্রত্যাশা করা উচিত না
ছেলেকে বিয়ে করানোর আগে মায়েদের উচিত ছেলেকে বুঝিয়ে বলা যেন তাঁরা স্ত্রী কাছে অতিরিক্ত প্রত্যাশা না করে। নতুন সংসারে সব কিছু গুছিয়ে নিতে স্বাভাবিক ভাবেই নানান রকম সমস্যা হতে পারে। সব কিছু স্বামীর মন মতই হবে এমনটা প্রত্যাশা করা উচিত না একেবারেই। অতিরিক্ত প্রত্যাশা থাকলে ছোটখাট বিষয় নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকবে। তাই নতুন সংসারে প্রত্যাশার পরিমাণ কমিয়ে স্ত্রীর সুবিধা অসুবিধা ও দূর্বলতাগুলো বোঝার চেষ্টা করা উচিত।
৩. স্ত্রীকে সম্মান করা উচিত
আমাদের সমাজে অধিকাংশ নারীরাই স্বামীর কাছে নানান রকম অপমানের স্বীকার হয়। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন গুলো মুখ বুজেই সহ্য করে যায় অধিকাংশ নারী। কিন্তু এতে সংসার জীবন মোটেও সুখের হয় না। তাই ছেলের মায়েদের উচিত বিয়ের আগেই ছেলেকে এই বিষয়ে বুঝিয়ে বলা। ছেলেকে বুঝিয়ে বলা উচিত যে স্ত্রীকে সম্মান করলেই সে তার শ্বশুরবাড়ির সবাইকে ভালোবাসবে। নতুবা নতুন সংসারের সব কিছুর প্রতিই তার বিতৃষ্ণা দেখা দিবে।
৪. জীবনের প্রতিটি ধাপেই স্ত্রীকে সাহায্য করা উচিত
সব স্বামীরই উচিত নিজের স্ত্রীকে জীবনের প্রতিটি ধাপেই সাহায্য করা। ইদানিং বেশিরভাগ নারীই সংসারের পাশাপাশি চাকরী করে থাকেন। ফলে সারাদিন চাকরী করার পর দিন শেষে একা একা সংসার সামলাতে বেশ কষ্ট হয় তাদের। তাছাড়া সন্তানকে স্কুলে নেয়া, ঘর গুছানো, মেহমানকে খাওয়ানো ইত্যাদি নানা কাজ করতে হিমসিম খেতে হয় তাদেরকে। তাই স্বামী উচিত কিছু কাজ স্ত্রীর সাথে ভাগ করে নেয়া। আর এই কথাগুলো বিয়ের আগেই নিজের ছেলেকে বুঝিয়ে বলা উচিত মায়ের।
৫. স্ত্রীকে সারাজীবন ভালোবাসা প্রকাশ করা উচিত
জীবনে যা কিছুই হোক না কেন সারা জীবন স্ত্রীর হাত দুটি ধরে রাখার পরামর্শ দেয়া উচিত মায়ের। বিয়ের আগেই ছেলেকে বলে দিন যে ছেলের জীবনে অনেক সুযোগ আসলেও স্ত্রীর সাথে যেন সে কখনোই প্রতারণা না কর।